বেসরকারি মতে এখনও পর্যন্ত ডেঙ্গিতে আক্রন্ত হয়ে রাজ্যে মৃতের সংখ্যা সাত। আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় আড়াই হাজার।
ক্রমেই রাজ্যে বাড়ছে ডেঙ্গির প্রকোপ। বেসরকারি মতে এখনও পর্যন্ত ডেঙ্গিতে আক্রন্ত হয়ে রাজ্যে মৃতের সংখ্যা সাত। আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় আড়াই হাজার। এই পরিস্থিতিতে প্রশাসনিক তৎপরতাই একমাত্র পথ বলে মনে করছে চিকিৎসকরা। উল্লেখ্য বৃহস্পতিবার এই মর্মে একটি বৈঠকও ডাকা হয়। পাশাপাশি বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, প্রস্তুতি রাখা হচ্ছে সর্বোচ্চ পর্যায়ে। তবে তাঁর মতে ডেঙ্গি সমস্যা মূলত আসছে বাংলাদেশ থেকেই। মমতা বলেন,'বাংলাদেশ থেকে আসছে। বেশি পাওয়া গিয়েছে উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটা ইত্যাদি এলাকায়।'
বৃহস্পতিবারই ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়ে পর্যালোচনার জন্য ডাকা হয় দুই পর্যায়ে বৈঠক। এদিন স্থির হয় সর্বস্তরে ডেঙ্গি প্রতিরোধ এবং চিকিৎসারপ্রস্তুতি সর্বোচ্চ পর্যায়ে রাখতে হবে। এছাড়া শুরু হয়েছে এলাকা পরিচ্ছন্ন রাখা এবং সচেতনতা প্রচারের কাজ। সরকারি হাসপাতালে বিনা মূল্যে ডেঙ্গি পরীক্ষার সুবিধা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম, স্বাস্থ্যভবনের জনস্বাস্থ্য বিভাগের কর্তা এবং কলকাতা-সহ বাকি জেলাগুলির স্বাস্থ্য আধিকারিকরাও এই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন। এছাড়া রাজ্যের মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালগুলির সুপার এবং অধ্যক্ষরাও থাকবেন।
কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে?
কলকাতার জমা বিভিন্ন জায়গায় জমা জল ডেঙ্গির প্রকোপ বাড়ার বড় কারণ। তাই এখন জায়গায় জায়গায় জমে থাকা নোংরা জল পরিষ্কার করা একটা বড় কাজ। ইতিমধ্যেই শহরে নোংরা জল পরিষ্কারের কাজও শুরু হয়েছে। পাশাপাশি দেওয়া হচ্ছে অন্যান্য পদক্ষেপও। রাজ্যের ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ নিয়ে আলোচনার জন্য বৃহস্পতিবার বৈঠকেও বসেছে স্বাস্থ্যভবন। এদিনের বৈঠকে মূলত দুটি বিষয় আলোচনা করা হয়েছে, রাজ্যের বর্তমান ডেঙ্গি পরিস্থিতি এবং মোকাবিলা। এই মুহূর্তে হাওড়া, কলকাতা, নদিয়া, দুর্গাপুর মহকুমা, মুর্শিদাবাদ, বোলপুর মহকুমা-সহ বেশ কয়েকটি জায়গা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে প্রসাশন। উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় প্রতি বছরই বেশি থাকে ডেঙ্গির প্রকোপ। তাই এই জেলায় বিশেষ নজর দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছে প্রশাসন। ইতিমধ্যেই জেলায় জেলায় শুরু হয়েছে জমা জল সরানো এবং মশার লাভার নষ্ট করার কাজ। ডেঙ্গির প্রকোপ রুখতে কলকাতা পুরসভার ১৪৪টি ওয়ার্ডের পুরপ্রতিনিধিদের পথে নেমে কাজ করার আবেদন জানিয়েছেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম।