বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে বারবারই অভিযোগ জানানো হয়েছে এলকার বিডিও-র কাছে। তবে তাতে বিশেষ কোনও ফল হয়নি বলেই জানানো হয়েছে।
স্কুলে নেই সঠিক মানের সাবমার্সাল, নেই জলের কোনও বিকল্প ব্যবস্থাও। অগত্যা দুর্গন্ধময় নোংরা জলেই হচ্ছে মিড ডে মিলের খাওয়ার রান্না। অস্বাস্থ্যকরভাবে খাওয়ার রান্নার কারণে সেই খাওয়ার খেয়ে অসুস্থ হয় পড়ছে পড়ুয়ারা। জেলা প্রশাসনের কাছে বারবার অভিযোগ জানালেও স্কুলে তৈরি হয়নি নতুন সাবমার্সাল। মিড ডে মিল নিয়ে বিতর্কের মাঝেই মালদায় উঠে এল রতুয়া এক নম্বর ব্লকের কুমারিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ঘটনা। বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে বারবারই অভিযোগ জানানো হয়েছে এলকার বিডিও-র কাছে। তবে তাতে বিশেষ কোনও ফল হয়নি বলেই জানানো হয়েছে।
মিড ডে মিলের তদন্তে মালদা জেলায় স্কুলে স্কুলে চলছে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের অভিযান। এরই মধ্যে মালদার রতুয়া এক নম্বর ব্লকের কুমারিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তরফে পালটা অভিযোগ জানানো হল। বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষিকা থেকে রাধুনীদের অভিযোগ বিদ্যালয় পরিষ্কার পানীয় জলের ব্যবস্থা না থাকায় সাবমার্সালের নোংরা দুর্গন্ধময় জলেই মিড ডে মিল রান্না করতে হয়। ফলে এই খাওয়ার খেয়ে অসুস্থ হয় পড়ছে পড়ুয়ারা। তাই জেলা প্রশাসন নতুন সাবমার্সাল না বসিয়ে দিলে মিড ডে মিল বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিতে হবে বলে জানিয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। ঘটনার সত্যাতা স্বীকার করেছেন স্কুলের কর্মীরাও। এই মর্মে রতুয়া এক নম্বর ব্লকের বিডিওকে লিখিত অভিযোগও জানিয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু তাতে কোনও লাভ হয়নি।
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই মিড ডে মিলের জন্য মজুত করা চালে মরা টিকটিকি ও মরা ইঁদুর পাওয়া গিয়েছিল। চাঁচলের বিদ্যানগর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজ্য জুড়ে। ঘটনার জেরে ইতিমধ্যেই স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক উজ্জ্বল সাহা রায় ও সাব ইন্সপেক্টর অফ স্কুলস আব্দুল হানিফকে সাসপেন্ড করার নির্দেশ দিল স্কুলশিক্ষা দফতর। স্কুলের কর্মী স্বপ্না সরকারকে বরখাস্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কী ভাবে বা কার গাফিলতিতে এই ঘটনা ঘটল সে বিষয়ও ক্ষতিয়ে দেখা হচ্ছে।
বুধবার চাঁচলে বিদ্যানন্দপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মিড ডে মিলের জন্য মজুত করা চাল যে ড্রামে রাখা ছিল তাতে মরা টিকটিকি এবং মরা ইঁদূর পাওয়া যায়। ঘটনা ঘিরে তীব্র উত্তেজনা সৃষ্টি হয় এলাকায়। তৎক্ষনাৎ পদক্ষেপ নেওয়া হয় প্রশাসনের পক্ষ থেকেও। এরপরই জেলাশাসক তদন্তের নির্দেশ দেন, সেই মতো বিডিও তদন্ত রিপোর্ট জমা করেন। কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতেই স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক উজ্জ্বল সাহা রায় ও সাব ইন্সপেক্টর অফ স্কুলস আব্দুল হানিফ ও স্কুলের কর্মী স্বপ্না সরকারের বিরুদ্ধে স্কুলশিক্ষা দফতরের কাছে ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানান মালদার জেলাশাসক।
আরও পড়ুন -
শুভেন্দু অধিকারীকে পাঠানো শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশনের নোটিসে স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট
বাজেটের পরই মধ্যবিত্তের চাপ আরও বাড়ল, লিটার প্রতি তিন টাকা করে দাম বাড়াল আমুল
এবার আটা মিলবে ৩০ টাকারও কমে, মূল্যবৃদ্ধি মোকাবিলায় মাস্টার স্ট্রোক মোদী সরকারের