
Malda News: 'বাংলাদেশি সন্দেহে বাঙালি শ্রমিকদের হেনস্থা করা হলে বিজেপির নেতাদের হাত কেটে ফেলা হবে। বাঙালি হেনস্থার মূল মাথা মোদী সাহেব।' প্রধানমন্ত্রীকে উত্তপ্ত ভাষায় আক্রমণ করে বিতর্কে জড়ালেন মালদহ জেলা তৃণমূল সভাপতি। বিজেপি শাসিত রাজ্যে বাঙালি শ্রমিকদের উপর অত্যাচারের অভিযোগ তুলে ফের বিতর্কিত মন্তব্য করলেন মালদহ জেলা তৃণমূল সভাপতি আব্দুর রহিম বকসি।
দিল্লিতে নির্যাতনের শিকার পরিযায়ী শ্রমিক সাজেনুর খাতুনের পরিবারের সঙ্গে দেখা করে দেশের প্রধানমন্ত্রীকে আক্রমণ করে উত্তপ্ত ভাষায় মন্তব্য সভাপতির। দিল্লিতে হেনস্থার শিকার হয়ে বৃহস্পতিবার মালদহের চাঁচলের পিরোজাবাদে নিজের বাড়িতে ফেরেন পরিযায়ী শ্রমিক সাজেনুর খাতুন ও তাঁর পরিবার। রাতে তাঁদের বাড়িতে সংবর্ধনা জানাতে উপস্থিত হন জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। ছিলেন জেলা সভাপতি আব্দুর রহিম বকসি, জেলাপরিষদের সহকারী সভাধিপতি রফিকুল হোসেন, চাঁচল ১ ব্লক সভাপতি শেখ আফসার আলি সহ ব্লক ও অঞ্চল নেতৃত্ব।
জেলা তৃণমূলের অভিযোগ, বিজেপি শাসিত রাজ্যে বাঙালিদের বাংলাদেশি সন্দেহে থানায় ভরে দেওয়া হচ্ছে। পুরুষদের নগ্ন করে চেক করা হচ্ছে। দুধের শিশুকেও রেহাই দেওয়া হচ্ছে না। এটা কি সভ্যতা? এখানেই থেমে থাকেননি জেলা তৃণমূল সভাপতি। চড়া সুরে দেশের প্রধানমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে বলেন, ‘’চোর,মিথ্যুক,ধাপ্পাবাজ।'' প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে এমন কদুর্য ভাষায় আস্ফালন করা হয়। এমনকি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘’যদি ভিনরাজ্যে আরও বাঙালি শ্রমিকদের হেনস্থা করা হয়,রাজ্য ও ভিনরাজ্যের বিজেপি নেতাদের হাত কেটে ফেলা হবে।''
জেলা তৃণমূলের কথায়, ‘’যদি বিজেপির কাছে পশ্চিমবঙ্গ বাংলাদেশ মনে হয়, তাহলে প্রধানমন্ত্রী যখন আসানসোল বা আলিপুরে এলেন, তিনি কি বাংলাদেশে এসেছিলেন? বিরোধী দলনেতার মা তো বাংলাদেশি তাই কি পশ্চিমবঙ্গটাও বাংলাদেশ?'' যদিও পাল্টা বিজেপির দক্ষিণ মালদহের সভাপতি অজয় গাঙ্গুলি বলেন, ‘’জেলা তৃণমূল সভাপতির এলাকায় নম্বর কমে গিয়েছে। তাই বারবার এমন হুমকি ও হুঁশিয়ারি দিচ্ছে। ছাপ্পাবাজের আর বেশিদিন মেয়াদ নেয়। মানুষ জবাব দিতে তার সময় ঘনিয়ে এসছে।''
অন্যদিকে, পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় বিরোধী দলনেতা এবং ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) নেতা শুভেন্দু অধিকারী বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের হিংসা-প্রবণ মুর্শিদাবাদ জেলায় আধাসামরিক বাহিনীর মোতায়েন আরও ছয় সপ্তাহ বাড়ানোর সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন।
ANI-কে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, "আধাসামরিক বাহিনী আরও ছয় সপ্তাহ সেখানে থাকবে। আমার আবেদন হল, কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই হিন্দু উৎসব শুরু হবে, এবং মুর্শিদাবাদ জেলার দাঙ্গা-প্রবণ এলাকায় ২০ শতাংশের বেশি হিন্দু নেই। হিন্দু উৎসবের সময় দুষ্কৃতকারীরা আবার হিন্দুদের উপর হামলা করবে এবং তারা সমস্যা সৃষ্টি করবে। তাই হাইকোর্টের উচিত ধুলিয়ান এবং সামশেরগঞ্জে এই আদেশ আরও বাড়ানো।"
এক্স সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে এক পোস্টে বিজেপি নেতা বলেন, "মুর্শিদাবাদ দাঙ্গা নিয়ে আমি যে জনস্বার্থে মামলা করেছিলাম, সেই বিষয়ে মাননীয় কলকাতা হাইকোর্টের বিভাগীয় বেঞ্চ পূর্বে দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ আদেশ অনুযায়ী ব্যবস্থাগুলি (যেমন কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন ইত্যাদি) চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছে। মাননীয় কলকাতা হাইকোর্টের হস্তক্ষেপের কারণে মুর্শিদাবাদ জেলার অনেক হিন্দুর জীবন রক্ষা পেয়েছে।"
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।