একুশে জুলাই নাম না করেই ঘাসফুল ছেড়ে পদ্মফুলে যোগ দেওয়া শুভেন্দু অধিকারীকে কটাক্ষ করে অভিষেক বলেছিলেন, ‘এই তৃণমূলে মীরজাফররা নেই।’ এক নজরে দেখে নিন সেই সকল বক্তব্যের অংশ।
‘সিপিএমের আমলে ১০ লাখ ১৫ লাখ টাকায় এক একটা চাকরি বিক্রি হয়েছিল’, ‘আমরা চাই চাকরি হোক, আর বিজেপি চায় চাকরি যাক’, ২০২২ সালের একুশের মঞ্চ থেকে পশ্চিমবঙ্গের দুই বিরোধী দলকেই কার্যত তুলোধোনা করেছিলেন শাসকদলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একুশে জুলাইয়ের আগে মুড়ির মতো দৈনন্দিন খাদ্যের ওপরেও জিএসটি বসিয়েছিলেন কেন্দ্রের শাসকদল বিজেপি, ধর্মতলার মঞ্চ থেকে তার বিরুদ্ধেও সরব হয়েছিলেন মমতা।
২০২২-এর ২১-এর মঞ্চে প্রধান চমক ছিল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছাতা। ঝমঝমে বৃষ্টির মধ্যে দলের কর্মী-সমর্থকদের উৎসাহ উদ্দীপনা আদায় করে নিতে ভিজে একশা হয়ে বক্তব্য রেখেছিলেন দলের সেকেন্ড ইন কম্যান্ড। বিপুল জনসমুদ্রের প্রতি তিনি বার্তা দিয়েছিলেন, ‘তৃণমূলের এই লড়াই দিল্লির বুকে নতুন গণতান্ত্রিক সরকার গড়ার লড়াই’। অর্থাৎ, ২০২২-এর একুশের মঞ্চেই বোনা হয়ে গিয়েছিল ২০২৪-এর লোকসভা ভোটের বুনিয়াদ।
‘নরেন্দ্র মোদী আর অমিত শাহের অশ্বমেধের ঘোড়াকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শুধু আটকেই রাখেনি, বেঁধে রেখেছে বাংলায়’, পশ্চিমবঙ্গে একের পর এক নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে বিজেপির পরাজয়কে এভাবেই কটাক্ষ করেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ১০০ দিনের কাজে বাংলার প্রাপ্য প্রায় ৯ হাজার কোটি টাকা কেন্দ্র সরকার দিচ্ছে না বলে দাবি করেছেন অভিষেক। ‘আচ্ছে দিন’-এর প্রসঙ্গ তুলে এই বিষয়টি নিয়েও বিজেপি সরকারকে খোঁচা দিয়েছেন তিনি।
কেন্দ্রের মোদী সরকারের একাধিক নিয়োগ প্রকল্প নিয়ে এক বছর আগে একুশের মঞ্চ থেকে সরব হয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রেলওয়ের চাকরি, ইউনিয়ন পাবলিক সার্ভিস কমিশন, কোল ইন্ডিয়া, সামরিক বিভাগ, ইত্যাদি বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিজেপির শাসকদলও নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রচুর পরিমাণে গরমিল করেছে বলে দাবি করেছেন তৃণমূল নেত্রী।
‘তৃণমূল কংগ্রেস করতে গেলে মানুষকে প্রাধান্য দিতে হবে, নিজের করে খাওয়ার জায়গা তৃণমূল কংগ্রেস নয়’, শহিদ দিবসের মঞ্চে দাঁড়িয়ে দলের উচ্চ স্তরের নেতাদের এভাবেই সতর্ক করেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। একুশে জুলাই নাম না করেই ঘাসফুল ছেড়ে পদ্মফুলে যোগ দেওয়া শুভেন্দু অধিকারীকে কটাক্ষ করে তিনি বলেছিলেন, ‘এই তৃণমূলে মীরজাফররা নেই। এই তৃণমূলে গদ্দাররা নেই। এই তৃণমূলে বেইমানরা নেই। এই তৃণমূলে দু-নম্বরিরা নেই। এই তৃণমূলে ধান্দাবাজরা নেই।’
২০২২ সালের জুলাই মাসে গ্যাসের দাম হয়েছিল ১ হাজার ১০০ টাকা। খাবার রান্না করার আগে মধ্যবিত্তের হেঁশেলে আগুন জ্বালাতেই উঠেছিল নাভিশ্বাস। পেট্রোল, ডিজেল, মুড়ি থেকে শুরু করে বহু নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের মূল্যবৃদ্ধিকে কটাক্ষ করে একেবারে হাস্যকর পর্যায়ে নিয়ে গিয়ে তুলোধোনা করেছিলেন তৃণমূল নেত্রী। বিরাট একটি নকল গ্যাস সিলিন্ডার একুশের মঞ্চ থেকে তুলে ধরেছিলেন তিনি। তাঁর সঙ্গে হাত মিলিয়েছিলেন ঘাটালের তৃণমূল সাংসদ তথা বাংলার জনপ্রিয় অভিনেতা দেব, অর্থাৎ দীপক অধিকারী।
আরও পড়ুন-
21 July TMC: ২১ জুলাইয়ের পরের দিনেই গ্রেফতার হয়েছিলেন পার্থ, ২০২৩ সালেও কি তৃণমূলের ভাগ্যে নতুন বিপদ?
‘Sex Video’: মহিলার সঙ্গে এ কী করছেন বিজেপি নেতা! ৮ ঘণ্টার ‘ঘনিষ্ঠ’ ভিডিও নিয়ে তোলপাড় মহারাষ্ট্র
Interview Tips: চাকরির ইন্টারভিউয়ে বাজিমাত করতে হলে অবশ্যই জেনে নিন এই ৫টি টিপস