রাহুল গান্ধী ইস্যুতে মোদী সরকারকে নিশানা মমতার। টুইট করে কড়া বার্তা। তবে নাম নিলেন না রাহুল গান্ধীর।
রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ খারিজ- এই ইস্যুতে রাহুল গান্ধী নাম না করেই কংগ্রেস নেতার পাশে দাঁড়ালেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দিয়ে তিনি রীতিমত তুলোধনা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও তাঁর সরকারের। মানহানি মামলায় গুজরাটের সুরাটের আদালত রাহুল গান্ধীকে বৃহস্পতিবার দোষী সাব্যস্ত করেছে। দুই বছরের কারাদণ্ডের সাজা ঘোষণা করা হয়েছে। তারপরই আইন অনুযায়ী রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ খারিজ হয়ে গিয়েছে।
এদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'প্রধানমন্ত্রীর নতুন ভারতে বিরোধীরাই বিজেপির প্রথম টার্গেট। যখন অপরাধের ইতিহাস থাকা বিজেপি নেতাদের মন্ত্রিসভায় স্থান দেওয়া হচ্ছে তখন বিরোধীদের বরখাস্ত করা হচ্ছে শুধুমাত্র ভাষণ দেওয়ার জন্য। আজ আমাদের সংসদীয় গণতন্ত্র অনেকটাই নিচু তলায় পৌঁছে গেছে। '
শুধু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নয় তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও কেন্দ্রীয় সরকারের তীব্র সমালোচনা করেন। তিনি মাত্র এক লাইনের টুইটবার্তায় বলেন, 'গণতন্ত্র এখন একটি অক্সিমোরন' তবে সোশ্যাল মিডিয়া নিজের বার্তা পোস্ট করার সময় অভিষেক ট্যাগ করেছেন, প্রয়াত গণতন্ত্র (ripdecracy) । রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ খারিজ হওয়ার পর থেকেই টুইটারে ট্রেন্ড চলছে রিপডেমোক্রেসি।
যাইহোক সম্প্রতি তৃণমূল কংগ্রেস জানিয়ে দিয়েছে কংগ্রেস ও বিজেপির সঙ্গে সমদূরত্ব বজায় রেখে লড়াই করবে। তারপর থেকে যেকোনও ইস্যুতে রাহুল গান্ধী ও কংগ্রেসকে আক্রমণের নিশানায় রেখেছে তৃণমূল। কিন্ত রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ খারিজ হওয়ার পরই মমতা ও অভিষেক নিশানা করেন বিজেপিকে। তবে দুজনেই টুইটে একবারও রাহুল গান্ধীর নাম পর্যন্ত নেননি। তাঁরা দুজনে শুধুমাত্র নিশানা করেন মোদী সরকারকে।
কংগ্রেসের সঙ্গে তৃণমূলের টানাপোড়েন চলছে। গোয়া ভোটের সময় থেকেই শুরু হচ্ছে শুরু হয়েছে কংগ্রেস - তৃণমূলের টানাপোড়েন। কংগ্রেস নেতাদের কথায় তৃণমূল একাধিক রাজ্যে গিয়ে কংগ্রেসের ভোট কেটে বিজেপির সুবিধে করে দিয়েছে। রাহুল গান্ধীও মেঘালয়ে ভোট প্রচারে দিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের এই রাজ্যের দুর্নীতি ইস্যুতে টার্গেট করেছিলেন। সম্প্রতি বাজেট অধিবেশনে রাহুল গান্ধী ইস্যুতে কংগ্রেস ও বিজেপিকে নিশানা করেছেন মমতা। তিনি বলেছিলেন রাহুল গান্ধীকে সুবিধে পাইয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে বিজেপি।