ইতিমধ্যেই হেলিকপ্টারের ডিজিটাল ফ্লাইট ডেটা রেকর্ডার (ডিএফডিআর)-এর তথ্য খতিয়ে দেখার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
কীভাবে হল মুখ্যমন্ত্রীর কপ্টার বিপর্যয়। তদন্ত শুরু করেছে ডিরেক্টরেট জেনারেল অব সিভিল এভিয়েশন (ডিজিসিএ)। ইতিমধ্যেই হেলিকপ্টারের ডিজিটাল ফ্লাইট ডেটা রেকর্ডার (ডিএফডিআর)-এর তথ্য খতিয়ে দেখার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ডিজিসিএ সূত্রে জানা যাচ্ছে ঘটনার দিন ঠিক কটার সময় হেলিকপ্টারটি উড়েছিল, তার ওয়েদার রেডারে কোনও আগাম সতর্কতা ছিল কি না, ক’টার সময়ে হেলিকপ্টারের দিক পরিবর্তন করা হয়েছিল যাবতীয় তথ্য জমা থাকে হেলিকপ্টারের ডিজিটাল ফ্লাইট ডেটা রেকর্ডার (ডিএফডিআর)-তে।
গত ২৭ জুন জলপাইগুড়ি থেকে শিলিগুড়ি ফেরার পথে দুর্যোগের মুখে পড়ে মুখ্যমন্ত্রীর কপ্টার। ঝড় বৃষ্টির জেরে সেবকের এয়ারবেসেই করতে হয় জরুরি অবতরণ। এই দৌঁড় ঝাপের মাঝে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোমরে চোট লাগে বলে জানা যায়। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে এসএসকেএম-এর উডবার্ণ ওয়াডেও নিয়ে যাওয়া হয়।
প্রসঙ্গত ঘটনার দু'দিনের মধ্যেই অর্থাৎ প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় টুইটারে লিখলেন,'আমার সুস্থতার জন্য সকলে যেভাবে প্রার্থনা করেছে আমি আন্তরিক ভাবে মুগ্ধ হয়েছি। মঙ্গলবার আমার হেলিকপ্টার সেবক এয়ারবেসে জরুরি অবতরণ করায় আমি অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গিয়েছি।' মেডিকেল টিমের প্রসংশা করে মুখ্যমন্ত্রী লেখেন,'সর্বশক্তিমানের দয়া এবং মেডিক্যাল টিমের প্রাণপণ প্রচেষ্টায় আমি সুস্থ। আপাতত বাড়িতে ফিজিয়োথেরাপি সেশন করছি।' হেলিকপ্টার বিপত্তিতে তিনি বাঁ দিকে ভালোই চোট পেয়েছেন। তাই চিকিৎসকরা ফিজিওথেরাপির পরামর্শ দিয়েছেন মমতাকে। কালীঘাটের বাড়িতে ফিজিও থেরাপি হল তাঁর। মঙ্গলবারের তুলনায় ব্যথা কমেছে বলে জানা গিয়েছে যদিও। তবে এখনও হাঁটতে সমস্যা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। বৃহস্পতিবার ফের স্বাস্থ্যপরীক্ষা রয়েছে মমতার। হাসপাতাল সূত্রে এমনই খবর সামনে এসেছে। কালীঘাটে মমতার বাড়িতে পৌঁছন SSKM হাসপাতালের অধিকর্তা। পৌঁছন ফিজিক্যাল মেডিসিন বিভাগীয় প্রধান এবং একজন ফিজিও থেরাপিস্টও। প্রায় দু'ঘণ্টা ধরে মমতার ফিজিওথেরাপি চলে সেখানে। SSKM সূত্রে খবর, এখনও যথেষ্ট ব্যথা রয়েছে মমতার। তবে গতকালের তুলনায় কমেছে কিছুটা। বৃহস্পতিবার ফের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হতে পারে তাঁর।