ঝাড়গ্রামে সফরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। এবার তাঁকে চপ ভাজতে দেখা গেল। রাস্তার ধারের একটি ছোট্ট দোকানে ঢুকে পড়ে উৎসাহী মুখ্যমন্ত্রী অবাক করলেন সকলকে।
বেকার তরুণ - তরুণীদের কর্মসংস্থানের জন্য চপ ভেজে তা বিক্রি করার কথা বলেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রয়োজনে পুজোর সঙ্গে চা , ঘুগনি মুড়ি বিক্রি করে অর্থের সংস্থান করা ও সাবলম্বী হওয়ার কথাও বলেছিলেন। যা নিয়ে তুমুল রাজনৈতিক তরজা হয়েছে। অনেকেই মুখ্যমন্ত্রীকে তুমুল কটাক্ষ করেছে। কিন্তু এদিন তিনি নিজেই রাস্তার পাশে একটি দোকানে দাঁড়িয়ে পড়ে চপ ভাজলেন।
ঝাড়গ্রাম সফরে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিরসা মুণ্ডার জন্মদিন উপলক্ষ্যে তিনি জঙ্গলমহলে গিয়েছেন। এদিন ঝাড়গ্রামের বিস্তীর্ণ এলাকা পায়ে হেঁটেই ঘুরে বেড়ান। কথা বলেন স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে। তাঁদের অভাব অভিযোগ শোনেন। তেমনই পথ চলতে চলতে স্থানীয় একটি দোকানে দাঁড়িয়ে পড়েছিলেন মমতা বন্ধ্যোপাধ্যায়। দোকানদারের সঙ্গে কথা বলে দোকানে ঢুকে পড়েন । দোকানের বড় গামলা খুলেও তাতে উঁকি দেন। তারপরই হাতা খুনতি হাতে এগিয়ে যান উনানের দিকে।
তারপর নিপুন হাতে বিশাল তেল ভর্তি কড়াইয়ে চপ ভাজেন। তা ছেঁকে তুলেও আনেন। তারপর নিজে হাতেই তা পরিবেশন করেন। হাসিমুখেই চপ পরিবেশন করেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে তাঁকে দেখার জন্য রীতিমত ভিড় জমে গিয়েছিল। স্থানীয়রা উঁকি দিচ্ছিলেন। তাঁর নিরাপত্তা রক্ষীরা অবশ্য ছিল ঘটনাস্থলে। তবে এটাই প্রথম নয়- এর আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে নন্দীগ্রামে ভোটের সময় চা বানিয়ে তা পরিবেশন করতে দেখা গেছে। দার্জিলিং সফরে তিনি মোমো বানিয়েছিলেন। এবার চপ ভাজলেন।
এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আবারও ১০০ দিনের কাজ নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে নিশানা করেন। তিনি বলেন, ১০০ দিনের টাকা বিজেপির টাকা নয়। কিন্তু এই টাকা বন্ধ করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। তিনি আরও বলেন, টাকার জন্য প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছিলেন তিনি। কিন্তু এবার কি প্রধানমন্ত্রীর পায়ে ধরতে হবে? প্রশ্ন তোলেন মমতা। পাশাপাশি তিনি বলেন ঝাড়গ্রামে এবার প্রয়োজনের তুলনায় কম বৃষ্টি হয়েছে। তাতে চাষের কাজ বাধা পাচ্ছে। এলাকায় আরও বেশি করে পুকুর কাটতে হবে বলেও জানিয়েছেন মমতা। তিনি আরও বলেন ২০২৪ সালের শেষের দিকে প্রত্যেকের বাড়িতে খাবার জল পৌঁছে যাবে।
তবে কেন্দ্রীয় সরকারের অবমাননা নিয়ে রীতিমত সরব হন মমতা। তিনি বলেন কেন্দ্রীয় সরকার টাকা বন্ধ করে দিয়েছে। পাল্টা হিসেবে তিনি জিএসটি বন্ধ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় কেন্দ্রীয় সরকার উদাসীনতার কথা তুলে বলেন আদিবাসী ছেলে মেয়েদের পড়াশুনা যাতে বন্ধ না হয় তারজন্য তিনি আর্থিক সাহায্য করবেন। তবে সব মিলিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার ১০০ দিনের কাজের টাকা বন্ধ করে দেওয়ায় উষ্মা প্রকাশ করেছেন। বলেছেন, 'হয় ১০০ দিনের টাকা দাও নয়তো গোদি ছাড়।' তিনি বলেন কেন্দ্রীয় সরকার জঙ্গলমহলের মানুষকে প্রতারিত করছে।
আরও পড়ুনঃ
সোনার দোকানে ডাকাতির ঘটনায় নিশীথ প্রামাণিকের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা,কটাক্ষ উদয়ন গুহর
ঝাড়গ্রাম সফরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, খোঁজখবর নিতে সরাসরি চলে গেলেন আদিবাসী পাড়ায়