সংক্ষিপ্ত

আবারও শুভেন্দু অধিকারীকে নিশানা করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ডায়মন্ড হারবারে নিজের কেন্দ্রে দাঁড়িয়ে শুভেন্দুর তীব্র সমালোচনা করেন তিনি। একহাত নেন বিজেপিকেও।

 

ডায়মন্ড হারবারে নিজের সংসদীয় কেন্দ্রে তৃণমূল কংগ্রেসের বৈঠকের পর বিজেপিকে একহাত নেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি এসএসসি দুর্নীতি নিয়ে সেখান থেকেই হাইকোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি। মঙ্গলবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায় বলেন অখিল গিরির মন্তব্যের জন্য তাঁদের দলের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রকাশ্যে ক্ষমা চেয়েছেন। কিন্তু এই জিনিস বিজেপি শিবিরে দেখা যাবে না।

রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে উদ্দেশ্য করে কুরুচিকর মন্তব্য করেছিলেন অখিল গিরি। যা নিয়ে সোমবার নবান্নে বৈঠকের পর মমতা প্রকাশ্য়ে দলীয় বিধায়কের মন্তব্যে দুঃখ প্রকাশ করে ক্ষমা চেয়ে নেন। তিনি বলেন এজাতীয় মন্তব্য তিনি সমর্থন করেন না। পাশাপাশি দ্রৌপদী মুর্মু ভাল মানুষ বলেও মন্তব্য করেন। এদিন সেই প্রসঙ্গ টেনে এনে শুভেন্দু অধিকারীকে আক্রমণ করেন অভিষেক। তিনি বলেন তৃণমূল নেত্রী কথা জঙ্গলমহলের কন্যা বীরবাহা হাঁসদাকে নিয়েও কুরুচিকর মন্তব্য করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দু বলেছিলেন বীরবাহা হাঁসদাকে জুতোর তলায় রাখি। কিন্তু এই মন্তব্যের জন্য বিজেপির কোনও শীর্ষ নেতা কিছুই বলেননি। অভিষেকের প্রশ্ন এজাতীয় মন্তব্যের জন্য বিজেপি কোনও শীর্ষ নেতা ক্ষমতা চাইতে পারবেন? রীতিমত চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন বিজেপিকে। তিনি আরও বলেন, এজাতীয় মন্তব্যের কোনও নিন্দাও করা হয়নি বিজেপির পক্ষ থেকে। অথচ অখিল গিরির মন্তব্যের পর দল প্রথম দিনই স্পষ্ট করে দিয়েছিল এই মন্তব্য সমর্থন করা যায় না। তিনি আরও বলেন, তাঁর দলনেত্রী ক্ষমা চেয়েছেন। কিন্তু শুভেন্দুর দলের শীর্ষ নেতৃত্ব অমিত শাহ বা জেপি নাড্ডারা এজাতীয় কাজ করতে পারবেন না বলেও মন্তব্য করেন।

এখানেই শেষ নয়, অভিষেক শুভেন্দুর মানসিক স্বাস্থ্য নিয়েও প্রশ্ন তুলে দেন। তিনি বলেন, 'দুঘণ্টা আগে মুখ্যমন্ত্রী সম্পর্কে একরকম কথা বলেন, দুঘণ্টা পরে অন্যরকম কথা বলেন। ওঁর মানসিক অবস্থা ঠিক নেই। শুভেন্দু অধিকারীর একজন মনোরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন।' যদিও তৃণমূল সোমবারই শুভেন্দু অধিকারীকে গেট ওয়েল সুন লেখা কার্ড পাঠিয়েছে।

অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ শুভেন্দু অধিকারী সিবিআই থেকে বাঁচার জন্য অমিত শাহের পায়ে ধরে বিজেপিতে গেছে। কথা প্রসঙ্গে এদিন তিনি সারদা ও নারদকাণ্ডের কথাও উল্লেখ করেন। তিনি বলেন ক্যামেরার সামনে শুভেন্দুর টাকা নেওয়ার ভিডিও সকলেই দেখেছে। অন্যদিকে সুদীপ্ত সেনও বারবার দাবি করছে শুভেন্দু কোটি টাকা নিয়েছে । কিন্তু এই ব্যাপারে কেন্দ্রীয় সরকার কোনও তদন্ত করছে না বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

আরও পড়ুনঃ

খেরসনের দখল নিয়েও স্বস্তিতে নেই ইউক্রেন, চিড়িয়াখানা থেকে গাধাও চুরি করছে রুশ সেনা- দেখুন ভিডিও

'দত্ত ভৌমিকরা কবে থেকে তফসিলি হল?' SSCকে ধমক দিয়ে জানতে চাইল কলকাতা হাইকোর্ট

ঝাড়গ্রাম সফরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, খোঁজখবর নিতে সরাসরি চলে গেলেন আদিবাসী পাড়ায়