২৩ জন ভারতীয় জওয়ানের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। ঘটনার খবর পেয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অবিলম্বে মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীকে জরুরি নির্দেশ দিয়েছেন। তড়িঘড়ি উত্তরবঙ্গের পথে রওনা হয়ে গিয়েছেন মন্ত্রিসভার উচ্চপদস্থ সদস্য এবং আইএএস আধিকারিকেরা।
নিদারুণ বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে সিকিম। লোহনাক লেকের ওপর মেঘ ভেঙে আচমকা হড়পা বান চলে এসেছে তিস্তা নদীর জলে। এর মারাত্মক প্রভাব পড়েছে উত্তরবঙ্গের ভারতীয় সেনাবাহিনীর ছাউনিতে। এই বিষয়ে গভীর দুশ্চিন্তায় পড়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সূত্রের খবর, লাচেন উপত্যকায় তিস্তা নদীতে আকস্মিক বন্যা এসে যাওয়ায় বেশ কয়েকটি সেনা ছাউনি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এখনও পর্যন্ত ২৩ জন সেনা-জওয়ান ভেসে গিয়েছেন, তাঁদের কোনও হদিশ পাওয়া যায়নি। চুংথাং বাঁধ থেকে জল বেরিয়ে আসায় আচমকা জলের স্তর ১৫ থেকে ২০ ফুট পর্যন্ত উঁচু হয়ে গেছে। ঘটনার খবর পেয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অবিলম্বে মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীকে জরুরি নির্দেশ দিয়েছেন। তড়িঘড়ি উত্তরবঙ্গের পথে রওনা হয়ে গিয়েছেন মন্ত্রিসভার উচ্চপদস্থ সদস্য এবং আইএএস আধিকারিকেরা।
জলের তোড়ে সিংটমের কাছে বারডাং-এ পার্ক করা সেনাবাহিনীর গাড়িগুলিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ২৩ জন ভারতীয় জওয়ানের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। বেশ কিছু যানবাহন প্রবল জলের গ্রাসে চলে গিয়েছে। তড়িঘড়ি তল্লাশি অভিযান শুরু করা হলেও ব্যাপক বৃষ্টি হওয়ার কারণে সেই অভিযান অত্যন্ত প্রতিকূল হয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় বাহিনী। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একটি টুইট বার্তার মাধ্যমে তাঁর উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন।
এক্স বা টুইটার হ্যান্ডেলে মমতা লিখেছেন, “মেঘ ভেঙে যাওয়ার দরুন সিকিমে একটি আকস্মিক বন্যার কারণে ২৩ জন সৈন্য নিখোঁজ হওয়ার খবর পেয়ে আমি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। এই বিষয়ে আমাদের সরকারের পক্ষ থেকে আমি একতা প্রকাশ করছি এবং সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি। উত্তরবঙ্গের সব মানুষকে আমি বর্তমান মৌসুমে বিপর্যয় মোকাবিলার ক্ষেত্রে সর্বাধিক সতর্কতা বজায় রাখার জন্যও অনুরোধ করছি। ইতিমধ্যেই আমি আমার মুখ্য সচিবকে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রস্তুতির ব্যবস্থা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব করার নির্দেশ দিয়েছি। কালিম্পং, দার্জিলিং এবং জলপাইগুড়ি জেলার মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়ার জন্য সমস্ত পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। রাজ্যের সিনিয়র মন্ত্রী এবং সিনিয়র আইএএস অফিসারদের উদ্ধার ও ত্রাণ তদারকির জন্য উত্তরবঙ্গে পাঠানো হয়েছে। এই ভয়াবহ দুর্যোগে যাতে প্রাণহানি না হয়, সেজন্য কড়া নজরদারি রাখা হচ্ছে।”