শহর জুড়ে যান চলাচল মসৃণ রাখার জন্য প্রতিটি বিভাগের অধীনে অতিরিক্ত বাহিনী প্রস্তুত রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে দুটি স্তরের নিরাপত্তা বজায় রাখা হয়েছে।
২২ জানুয়ারি সমস্ত ধর্মের মানুষকে সঙ্গে নিয়ে কলকাতার রাজপথে সংহতি মিছিলের ডাক দিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো, তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। অন্যদিকে, এই একই দিনে উত্তর প্রদেশের অযোধ্যায় নব নির্মিত রাম মন্দিরের (Ayodhya Ram Mandir) প্রাণ প্রতিষ্ঠা অনুষ্ঠান। ফলে, দুই ভিন্ন মেরুতে ভাগ হয়ে যেতে পারে সাধারণ মানুষের অবস্থান। মহানগর জুড়ে আজ ব্যাপক কঠোর নিরাপত্তার বেড়াজাল তৈরি করেছে কলকাতা পুলিশ।
-
হাজরা থেকে সংহতি যাত্রার মিছিল বের হয়ে এগিয়ে চলেছে পার্ক সার্কাস পর্যন্ত। সমস্ত ধর্মের মানুষদের আহ্বান জানানো হয়েছে সংহতি মিছিলে, যার নেতৃত্ব দেবেন খোদ তৃণমূল সুপ্রিমো। তাই, যে কোনও ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়ানোর জন্য নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে শহরকে।
-
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে যে, প্রায় ৪ হাজার জন পুলিশকর্মী মোতায়েন-সহ বেশ কিছু ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সোমবার রাত থেকেই অযোধ্যায় রাম মন্দির উদ্বোধনের আগে কলকাতায় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। দৈনন্দিন যাত্রীদের অসুবিধা কমানোর জন্য যানজট নিয়ন্ত্রণে রাখা হচ্ছে। ভবানীপুর, কামাক স্ট্রিট, শিয়ালদহ, গারফা, পাটুলি, শকুন্তালা পার্ক এবং বন্দর এলাকা দিয়ে রয়েছে মিছিলের রুট।
আজ সপ্তাহের প্রথম দিন, তাই যান চলাচলের পরিমাণ স্বাভাবিকভাবেই বেশি, যানজট নিরসনের জন্য ৪ হাজার জন পুলিশকর্মী নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কলকাতা পুলিশের অধিক্ষেত্রের প্রতিটি বিভাগে অতিরিক্ত বাহিনী প্রস্তুত রয়েছে এবং সমস্ত থানাগুলিকে সারাদিন ধরে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
-
যেসমস্ত জায়গায় পুজোপাঠ চলছে এবং সমাবেশ নির্ধারিত হয়েছে, সেই সমস্ত স্থানগুলিকে সংবেদনশীল, ফলে পুলিশকে সজাগ থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যান চলাচল মসৃণ রাখার জন্য প্রতিটি বিভাগের অধীনে অতিরিক্ত বাহিনী প্রস্তুত রয়েছে।
আইন-শৃঙ্খলা মসৃণ রাখতে সমস্ত সমাবেশের ভিডিয়োগ্রাফি করা হবে এবং পুলিশ সর্বদা সঙ্গে রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে দুটি স্তরের নিরাপত্তা বজায় রাখা হয়েছে।