মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে রীতিমত কটাক্ষ করেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী

তিনি বলেন “আমরা আগে বীরভূমকে বলতাম তারাপীঠ খ্যাত বীরভূম, শান্তিনিকেতন খ্যাত বীরভূম, কবিগুরুর বীরভূম, আর আজকে সেই বীরভূমে জঙ্গলের রাজত্ব দেখা যাচ্ছে। যার নেপথ্যে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস।”

Web Desk - ANB | Published : Dec 27, 2022 6:44 PM IST

রাজ্য সরকারের সন্ত্রাস,দুর্নীতি ও একনায়কতন্ত্রের বিরুদ্ধে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার দাবি। সেই দাবি নিয়েই বীরভূম জেলার নলহাটি হরিপ্রসাদ হাই স্কুল মাঠে ভারতীয় জনতা পার্টির প্রতিবাদ সভায় অংশ গ্রহণ করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। এই জনসভার মাঠ থেকে শুভেন্দু অধিকারী বলেন 'তিন হাজার প্রাইমারীর চাকরি গেছে, ওমপ্রকাশ চৌটালা জেলে গেছে। এখানেও আগামী দিনে এই অবস্থাই হবে। রানি মৌমাছি নিজে মধু খায় না, শ্রমিক মৌমাছিরা মধু সংগ্রহ করে। যেমন কেষ্ট করেছে, টুলু, আইসি আলি করেছে। সব গেছে আসল রানিমার কাছে। দড়ি ধরে মার টান, রানি হবে খান খান।'

বীরভূমের নলহাটিতে কার্যত এদিন 'বিস্ফোরণ' ঘটান শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন “আমরা আগে বীরভূমকে বলতাম তারাপীঠ খ্যাত বীরভূম, শান্তিনিকেতন খ্যাত বীরভূম, কবিগুরুর বীরভূম, ভারতের প্রয়াত প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের জন্মস্থান বীরভূম। আর আজকে সেই বীরভূমে জঙ্গলের রাজত্ব দেখা যাচ্ছে। যার নেপথ্যে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস।”

একইসঙ্গে পুলিশকে একহাত নিয়ে শুভেন্দু বলেন, “পুলিশের কী নগ্ন চেহারা! এবার কোথায় যাবেন পুলিশবাবারা? কোর্ট তো চেপে ধরেছে। পুরনো এফআইআরকে হাতিয়ার করে অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতার করল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ। এই মমতাই এই জেলাতেই ১০টা প্রশাসনিক সভাতে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে জেলাশাসক, এসপিকে, মুখ্যসচিবকে, ডিজিপিকে নির্দেশ দিয়ে বলেছেন কেষ্ট যা বলবে তাই করতে হবে। আর এখন কেষ্টকে এখানে রাখতে চাইছে।”

এদিন তিনি অনুব্রতর গড়ের হানা দিয়ে শাসক তৃণমূল থেকে বীরভূমের বেতাজ বাদশার বিরুদ্ধে লাগাতার আক্রমণ শানালেন শুভেন্দু। শুভেন্দুর দাবি, অনুব্রত ব্রিগেডের হাতে নষ্ট হচ্ছে বীরভূমের ভাবমূর্তি। নেপথ্যে রয়েছে শাসকদল তৃণমূল। প্রসঙ্গত, পঞ্চায়েত ভোটের আগেই শাসকদলের অস্বস্তি বাড়িতে বীরভূমে মাস্টারস্ট্রোক দিয়েছেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর হাত ধরেই এদিন বিজেপি-তে যোগ দিলেন বীরভূম তৃণমূলের প্রাক্তন সহ-সভাপতি বিপ্লব ওঝা। তবে তিনি যে দলের সঙ্গে নেই সেই ঘোষণা করে দিয়েছিলেন মঙ্গলবার সকালেই। আর বিকালেই নলহাটির সভায় হাসিমুখে শুভেন্দুর সভায় বসতে দেখা গেল তাঁকে।

Share this article
click me!