
অনুব্রত মণ্ডলের গড় বীরভূমে যাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু সেই কথা ঘোষণা করেছেন, জেলা তৃণমূল কংগ্রেসে অনুব্রতর বিরোধী হিসেবেই পরিচিত কাজল শেখ। যদিও অনুব্রত বা কাজল কেউ প্রকাশ্যে নিজেদের একে অপরের বিরোধী বলেন না। যাইহোক এবার কাজল শেখই জানিয়েছেন মমতার বীরভূমের কর্মসূচি। বীরভূমের জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজল শেখ জানিয়েছেন ইলামবাজারের ব্রিজ-সহ একাধিক প্রকল্পের উদ্বোধন করার জন্যই বীরভূম যাবেন মমতা। একই সঙ্গে ভিনরাজ্যে বাঙালিদের ওপর হওয়া অত্যাচারের অভিযোগ তুলে তিনি একটি মিছিলও করবেন।
বীরভূমে জেলার কোনও ঘোষিত নেতা নেই। অনুব্রত জেলে যাওয়ার পরই কোর কমিটি গঠন করে দিয়েছিলেন মমতা। অনুব্রত জেল থেকে ফেরার পরেও সেই কোর কমিটিকেই দল চালাতে নির্দেশ দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। যদিও মুখ্যমন্ত্রীর এই বীরভূম সফর নিয়ে কোর কমিটির এখনও পর্যন্ত কোনও বৈঠক হয়নি। কাজল শেখ জানিয়েছেন, ইলামবাজার থেকে পশ্চিম বর্ধমান যাওয়ার ব্রিজেশর শিলান্যাশ করার কথা রয়েছে মমতার। প্রশাসনিক বৈঠকও রয়েছে। একাধিক প্রকল্পেরও উদ্বোধন করবেন তিনি। কাজলই জানিয়েছেন, ২৮ বা ২৯ জুলাই বোলপুরে একটি মিছিল করবেন মমতা।
সম্প্রতি অনুব্রত মণ্ডলকে ২১ জুলাইয়ের মঞ্চে দেখা যায়নি। ২১ জুলাইয়ের আগের দিনই মঞ্চের আগেই তাঁকে আটকে দিয়েছিল পুলিশ। অন্যদিকে জেলা সভাপতি ট্যাগটাও ফিরিয়ে দেননি মমতা। তৃণমূলের অন্দরের খবর কিছুটা চাপানউতোর রয়েছে। যদিও মমতা যে অনুব্রতকে যথেষ্ট স্নেহ করেন তা সকলেই জানে। কারণ জনসভা থেকেই তিনি অনুব্রতকে কেষ্টা বলে ডাকেন। কিন্তু বীরভূমে কাজল শেখের অনুগামীদের কথায় বর্তমানে কিছুটা দূরত্ব বেড়েছে মমতা - অনুব্রত।
এই পরিস্থিতিতেই মমতার বীরভূম সফর। যা নিয়ে জেলার সঙ্গে রাজ্যের মানুষও উদগ্রীব হয়ে রয়েছে।