সোমবার বোলপুর থেকে মালদহে যাবেন। সেখানে সরকারি কর্মসূচি রয়েছে। মালদা জেলার একাধিক প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করবেন মুখ্যমন্ত্রী।
সোমবার চার দিনের জেলা সফরে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর গন্তব্য বীরভূম, মালদহ ও বর্ধমান। অনুব্রতম মণ্ডল বিহীন বীরভূমে এই প্রথম যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। শেষবার তিনি বগটুইকাণ্ডের পর সেখানে গিয়েছিলেন মমতা। সেই সময়ও মমতার সঙ্গে ছিলেন অনুব্রত। অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতার করা হয়েছিল ১১ অগাস্ট। তবে অনুব্রত মণ্ডল বিহীন বীরভূমে রীতিমত বেড়েছে তৃণমূল বিরোধী বিক্ষোভ। দলের একাধিক জনপ্রতিনিধি সেখানে বিক্ষোভের মুখে পড়েছেন। তাই অনেকেই মনে করছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই ক্ষতে প্রলেপ লাগাতেই বীরভূম যাচ্ছেন।
সোমবার দুপুরে নবান্নে মন্ত্রিসভার গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক রয়েছে। সেই বৈঠক সেরেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যাবেন বিধাননগরে। সেখানে আন্তর্জাতিক বইমেলার উদ্বোধন করবেন। বইমেলার উদ্বোধন সেরে বিধাননদর থেকেই হেলিকপ্টারে করে তিনি বোলপুর যাবেন। সরকারডাঙা হেলিপ্যাডে নামার কথা রয়েছে তাঁর। সোমবার রাতে শান্তিনিকেতনেই থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী।
সোমবার বোলপুর থেকে মালদহে যাবেন। সেখানে সরকারি কর্মসূচি রয়েছে। মালদা জেলার একাধিক প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করবেন মুখ্যমন্ত্রী। দুয়ারে সরকারে প্রকল্পের পরিষেবা তুলে দেবেন সাধারণ মানুষের হাতে। তিনি সাইকেলও বিলি করবেন ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে। মালদা থেকে রাতেই হেলিকপ্টারে করে ফিরে আসবেন বোলপুরে।
পরের দিন অর্থাৎ বুধবার বোলপুর সরকারি কর্মসূচিতে যোগ দেবেন তিনি। সেখানে রাজ্য সরকারের প্রকল্প তুলে দেবেন স্থানীয় মানুষের হাতে। প্রশাসনিক সভাও করার কথা রয়েছে।
পরের দিন বৃহস্পতিবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বোলপুর থেকে যাবেন বর্ধমানে। সেখানে সেখানও রয়েছে সরকারি কর্মসূচি। বর্ধমান থেকেই মমতা ফিরে আসবেন কলকাতায়।
তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে এবার বীরভূম সফর অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ। একদিকে যেমন অনুব্রত মণ্ডলের অনুপস্থিতিতে এই সফর- অন্যদিকে অমর্ত্য সেন আর বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের জমি নিয়ে তরজার মধ্যেই তিনি যাচ্ছেন শান্তিনিকেতনে। সম্প্রতি অমর্ত্য সেনে বলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সবরকম ক্ষমতা রয়েছে। বিজেপি যে এইটাই দল তারা যে সর্বদা জিতবে -এমনটা তিনি মানতে নারাজ। পাশাপাশি সিএএ ও এনআরসি নিয়েই বিরোধীতা করেছেন নোবেল জয়ী অর্থনীতিবীদ।