দীর্ঘদিন ধরে পশ্চিমবঙ্গের সরকারি কর্মচারী, শিক্ষক , ডাক্তার , নার্স সহ সমস্ত আধা সরকারি কর্মচারী সকলেই ভীষণভাবে বঞ্চিত। কেন্দ্র এবং অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় প্রায় ৩৮ শতাংশ ডিয়ারনেস অ্যালোয়েন্স বা মহার্ঘ্যভাতা কম পায় বলেও অভিযোগ সরকারী কর্মীদের।
দীর্ঘ দিনের পুরনো ডিএর দাবিতে আন্দোলন ক্রমশই চওড়া হচ্ছে। এই অবস্থায় রাজ্যের একাধিক দফতরের কর্মীরা এই আন্দোলনে সামিল হচ্ছে। পিছিয়ে নেই শিক্ষকরাও। কেন্দ্রীয় হারে DA-এর দাবিতে আন্দোলনের পথে প্রাথমিক শিক্ষকরা। পাশাপাশি স্বচ্ছতার সঙ্গে শূন্যপদ পুরণের দাবিও জানিয়েছেন তাঁরা। আগামী পয়লা ফেব্রুয়ারি বুধবার বেলা ২-৪টে পর্যন্ত কর্মবিরতি পালন করবেন বলেও জানিয়েছে আন্দোলনকারী শিক্ষকরা। সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের অহ্বানে শহিদ মিনারে লাগাতার অবস্থান বিক্ষোভেও তারা সামিল হবে বলেও জানিয়েছে।
দীর্ঘদিন ধরে পশ্চিমবঙ্গের সরকারি কর্মচারী, শিক্ষক , ডাক্তার , নার্স সহ সমস্ত আধা সরকারি কর্মচারী সকলেই ভীষণভাবে বঞ্চিত। কেন্দ্র এবং অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় প্রায় ৩৮ শতাংশ ডিয়ারনেস অ্যালোয়েন্স বা মহার্ঘ্যভাতা কম পায় বলেও অভিযোগ সরকারী কর্মীদের। এই অবস্থায় আইন আদলত করেও এখনও পর্যন্ত ডিএ- নিয়ে কোনও সমস্যা সমাধান হয়নি। সেই কারণেই এবার তারা আন্দোলন শুরু করেছেন। পাশাপাশি সরকারি কর্মীদের অভিযোগ, রাজ্যে কয়েক লক্ষ সরকারি পদ শূন্য রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরেই নিয়োগ নেই। যতটুকু নিয়োগ হচ্ছে সেখানে চলছে সীমাহীন দুর্নীতি। এই নিয়োগ দুর্নীতির বিরুদ্ধেও প্রতিবাদ জানিয়েছেন রাজ্যের সরকারি কর্মীরা।
বকেয়া সহ কেন্দ্রীয় হারে DA প্রদান এবং সমস্ত শূন্য পদে স্বচ্ছতার সাথে স্থায়ী নিয়োগের দাবিতে রাজ্যের ২৮ টি সংগঠন একত্রিত হয়ে 'সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ' গঠন করে প্রায় ১ বছর ধরে আন্দোলন চলছে। সেই আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় গত ২৭ জানুয়ারি গণছুটি ও সেদিন থেকে শহীদ মিনারে লাগাতার অবস্থান বিক্ষোভ চলছে।
সমিতির সাধারণ সম্পাদক আনন্দ হান্ডা এক প্রেস বিবৃতিতে বলেন, 'সংগ্রামী যৌথ মঞ্চে'র পক্ষ থেকে আগামী পয়লা ফেব্রুয়ারি বুধবার, বেলা ২টা থেকে ৪টা পর্যন্ত ২ঘন্টার যে কর্মবিরতির ডাক দেওয়া হয়েছে আমাদের সংগঠন তাকে পুরোপুরি সমর্থন জানাচ্ছে। সেইসঙ্গে তিনি সকল শিক্ষক- শিক্ষাকর্মীদের কাছে কর্মবিরতি পালন করবার এবং ঐ সময়ে দাবি সম্বলিত ব্যাজ পরিধান করবার আবেদন জানান।