২৫ মে ঝাড়গ্রাম লোকসভা কেন্দ্রে ভোট। সেই কেন্দ্রের ভোট প্রচারে গিয়েছিলেন মমতা । নির্বাচনী জনসভাও করেন। বক্তব্যের শেষেই সমস্যায় পড়েন মমতা
বাড়িতে থাকলে ট্রেডমিল আর বাইরে গেলে রাস্তায় হাঁটেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি নিজেই জানিয়েছেন, নিয়মিত তিনি হাঁটেন। এটাই তাঁর শরীরর চর্চার সিক্রেট। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় সরকারি কাজ বা ব্যক্তিগত কাজ- কখনই জুতো বা অবন্য কোনও চটি পরেন না। তিনি সর্বদাই হাওয়াই চটিই পরে থাকেন। বলা যাতে পারে সাদা শাড়ি আর হাওয়াই চটি তাঁর ট্রেডমার্ক। কিন্তু ঝাড়গ্রাম লোকসভা প্রচারে দিয়ে যথেষ্ট বিড়ম্বনার মধ্যে পড়তে হল মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে। মিছিলের মধ্যেই ছিঁড়ে গেল তাঁর হাওয়াই চটি।
২৫ মে ঝাড়গ্রাম লোকসভা কেন্দ্রে ভোট। সেই কেন্দ্রের ভোট প্রচারে গিয়েছিলেন মমতা । নির্বাচনী জনসভাও করেন। বক্তব্যের শেষেই সমস্যায় পড়েন মমতা। কারণ মমতা স্টেজে এক জায়গায় দাঁড়িয়ে বক্তব্য রাখেন না। প্রায় গোটা স্টেজেই ঘুরে বেড়ান। ঝাড়গ্রামেই তার অন্যথা হয়নি। বক্তব্য প্রায় শেষের দিকে, তখনই আচমতা মমতার ট্রেডমার্ক হাওয়াই চটির ফিঁতে ছিঁড়ে যায়। তাঁর দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন প্রাক্তন সাংসদ উমা সোরেন। নতুন চটি আনার উদ্যোগ নেন। কিন্তু তিনি মমতা। দমবার পাত্র নন। মঞ্চের মধ্য়েই বসে পড়ে হাওয়াই চটি মেরামতির কাজ শুরু করে দেন। সেফটিপিন দিয়ে চটি মেরামতি করতে শুরু করেন। কিন্তু সেই সেফটিপিন ফুটে যায় হাতে। রক্তারক্তি অবস্থা।
মঞ্চে চটি সারিয়ে তারপরই মিছিলে পা মেলান মমতা। সেফটিপিন দিয়ে জোড়াতাপ্পির চটি পরেই পথ হাঁটেন। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মমতা বলেন, জুতোর আয়ুর থেকে অনেক বেশি হেঁটে ফেলেছেন। তাই এই বিপত্তি। যদিও মঞ্চেই তাঁর চটি জোগাড় করা হয়েছিল। কিন্তু তিনি কারও সাহায্য নেননি। ঝাড়গ্রামে নির্বাচনী জনসভা করলেন তৃণমূলনেত্রী। বললেন, 'বিজেপি এতবড় চোর, এত বড় ডাকাত..আর কোথাও নেই। আওয়াজ তুলতে হবে, ১০০ দিন কা রুপিয়া খা লিয়া হে, বিজেপি চোর হ্যায়...'