গরু পাচার মামলার গোপন তথ্য মণীশ কোঠারির কাছে, তার গ্রেফতারিতে কেন আরও জালে জড়ালেন অনুব্রত, জানুন

অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার পরই ১২ জনকে তলব করেছিল ইডি। শোনা গিয়েছিল, তাঁদের অনুব্রতের মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হবে। সেই ১২ জনের তালিকায় নাম ছিল মণীশ কোঠারিরও।

Web Desk - ANB | Published : Mar 14, 2023 3:51 PM IST

গরুপাচার মামলায় ফের গ্রেফতার। এবার গ্রেফতার হলেন অনুব্রত মন্ডলের হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারি। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টর সূত্রে খবর, মঙ্গলবার অনুব্রতর মুখোমুখি বসিয়ে প্রশ্ন করা হয় তাঁর হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারিকে। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় সমস্ত নথিপত্র নিয়ে দিল্লিতে ইডির সদর দফতরে হাজিরা দেন চাটার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট মণীশ। ইডি সূত্রে খবর, ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদে তদন্তে অসহযোগিতা করছিলেন মণীশ। জবাব এড়িয়ে যাচ্ছিলেন। প্রশ্নের সদুত্তর দেননি। এর পরেই গ্রেফতার করা হয় তাঁকে।

সূত্রের খবর একাধিক নথি চাওয়া হয় তাঁর কাছে। দিন কয়েক আগে অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার পরই ১২ জনকে তলব করেছিল ইডি। শোনা গিয়েছিল, তাঁদের অনুব্রত মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হবে। সেই ১২ জনের তালিকায় নাম ছিল মণীশ কোঠারিরও। অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেপ্তারের পর থেকেই ইডির নজরে ছিলেন মণীশ কোঠারি। একাধিকবার বিভিন্ন জায়গায় তাঁকে তলব করেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। দীর্ঘক্ষণ জেরা করা হয়।

কে এই মণীশ কোঠারি?

প্রাথমিকভাবে তিনি অনুব্রত মন্ডলের হিসেবরক্ষক। তবে তার বাইরেও অজস্র কাজ ছিল তাঁর। জানা গিয়েছে ২০১১ সালের পর থেকে মণীশ কোঠারির প্রতিপত্তি বেড়েছে ঝড়ের গতিতে। নিন্দুকদের মতে, অনুব্রতর সম্পত্তি সামাল দিয়েই এই প্রতিপত্তির মালিক হয়েছেন মণীশ। স্থানীয় সূত্রে খবর, অনুব্রত ও সুকন্যা মণ্ডল ছাড়াও বীরভূমের বহু বড় ব্যবসায়ীর অ্যাকাউন্টের দায়িত্ব ছিল মণীশের কাঁধে। বাড়ি বোলপুর শ্রীনিকেতন রোডে। বীরভূম শুধু নয়, বীরভূমের বাইরে বিপুল জমি কেনা হয়েছে, সুকন্যা মণ্ডলের নামে ১৭ কোটি টাকা ফিক্সড ডিপোজিট রয়েছে। ওইসব তথ্য জানতে চাইছে ইডি। গোরুপাচারের টাকা বিনিয়োগের হাল হকিকত সব জানতেন মণীশ কোঠারি।

উল্লেখ্য, মণীশকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ইডি আধিকারিকরা জানান, তথ্য লুকনোর চেষ্টা করছেন মণীশ। মণীশ ও অনুব্রতকে এদিন মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে বলেও সূত্রের খবর। এর আগেও অনুব্রতকে মণীশের বয়ান রেকর্ড করে শুনিয়েছিলেন তদন্তকারীরা।

মণীশের হাতেই ছিল অনুব্রত ও সুকন্যার বিপুল সম্পত্তির চাবিকাঠি। কালো টাকা কোন পথে সাদা করা হবে, সে হিসেব নাকি কষতেন তিনি। তাই দিল্লিতে ডাক পড়ার পরই তাঁর গ্রেফতারির আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল। আর সেই আশঙ্কাই সত্যি হল এবার। বুধবার তাঁকে আদালতে পেশ করা হবে।

Share this article
click me!