একসঙ্গে একাধিক শিক্ষকের চাকরি চলে যাওয়ায় বন্ধের মুখে জেলার এই স্কুল, জানুন এক ক্লিকে

Published : Apr 07, 2025, 06:17 PM IST
Asianet News

সংক্ষিপ্ত

Nadia Teachers: শিক্ষকের অভাবে ধুঁকছে স্কুল। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে চাকরি গিয়েছে প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকার। নদীয়ার বাদকুল্লা অঞ্জনগর হাইস্কুলে পাঁচজন শিক্ষক এবং একজন শিক্ষাকর্মীর চাকরি চলে যাওয়ায় রীতিমতো ভেঙে পড়েছে স্কুলের পঠন পাঠন ও   

Nadia Teachers: শিক্ষকের অভাবে ধুঁকছে স্কুল। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে চাকরি গিয়েছে প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকার। নদীয়ার বাদকুল্লা অঞ্জনগর হাইস্কুলে পাঁচজন শিক্ষক এবং একজন শিক্ষাকর্মীর চাকরি চলে যাওয়ায় রীতিমতো ভেঙে পড়েছে স্কুলের পঠন পাঠন ও পরিকাঠামো। স্তব্ধ হতে চলেছে বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগ।

বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে চাকরি গিয়েছে রাজ্যের প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক শিক্ষিকার। বাদ যায়নি নদীয়ার বাদকুল্লার অঞ্জনগর হাই স্কুলেরও। বিদ্যালয়ের ছয়জন চাকরি হারিয়ে এখন রীতিমতো বিদ্যালয়ের পঠনপাঠন ও পরিকাঠামো ভেঙে পড়েছে বলে জানাচ্ছেন প্রধান শিক্ষক। পাঁচজন শিক্ষকের চাকরি যাওয়ার পরেই বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগ পুরোপুরি স্তব্ধ। এছাড়াও স্তব্ধ হয়েছে কম্পিউটার বিভাগও। কম্পিউটার বিভাগে ছিল দুজন শিক্ষক সেখান থেকে একজন শিক্ষকের চাকরি বাতিল হয়েছে।এখন কম্পিউটার বিভাগও কীভাবে চলবে তা নিয়ে চিন্তার ভাঁজ কপালে প্রধান শিক্ষকের।

অপরদিকে বিদ্যালয়ে দুজন গ্রুপ সি পদে থাকা শিক্ষা কর্মীর মধ্যে একজন শিক্ষা কর্মীর চাকরি চলে যাওয়ায় এখন রীতিমতো স্কুলের অফিশিয়ালি কাজেও ব্যাঘাত ঘটছে। বিদ্যালয়ের সূত্রে খবর পাঁচ জন শিক্ষকের মধ্যে চারজন ছিলেন গণিত বিভাগের এবং একজন রসায়ন বিভাগের কার্যত এই চাকরি চলে যাওয়ায় বিদ্যালয়ের গণিতবিভাগ এবং রসায়ন বিভাগ রীতিমতো ভেঙে পড়েছে। এই দুই বিভাগের অন্যান্য শিক্ষকরা যারা বর্তমানে দায়িত্ব সামলাচ্ছেন তারা প্রত্যেকেই একজন করে। তাদের দাবি এইভাবে একজনের পক্ষে বিদ্যালয়ের সমস্ত শ্রেণীর ক্লাস নেওয়া সম্ভব নয়।

সদ্য চাকরিহারা এই সব শিক্ষক-শিক্ষিকাদের দাবি সরকার এর এক সুষ্ঠ বিহিত করুক। অপরদিকে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও জানাচ্ছেন সমস্ত কিছু যাতে ঠিকঠাক ভাবে আবার চালু করা যায় তার ব্যবস্থা নিক রাজ্য সরকার। সোমবারই যোগ্য শিক্ষক শিক্ষিকাদের সঙ্গে বৈঠক করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিনের বৈঠক থেকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ''গায়ের জোরে ফোর্সফুলি তর্ক করে কিছু হয় না। আগে যোগ্যদেরটা ঠিক করতে দিন। আস্থা রাখুন। অযোগ্যদের নথিপত্র দেখব। সেটা নিয়ে আলোচনা করব। প্রথমে আগে যোগ্যদেরটা দেখব। চিন্তা করবেন না। নিশ্চিন্তে থাকুন। যোগ্য-অযোগ্যদের গন্ডগোল লাগাবেন না।''

সুপ্রিম রায়ে চাকরিহারাদের মুখ্যমন্ত্রীর আরও বার্তা, ''বাচ্চাদের শিক্ষা দিন। আমি নিশ্চয় সকলের কথা শুনব। আগে আমাকে তদন্ত করতে দিন। আপনি ক্ল্যারিফিকেশন চাইব। আইনের ধারা অনুযায়ী কাজ করব। কারও চাকরি যাক চাই না।'' শুধু তাই নয়, কোনও 'যোগ্য' চাকরিহারাকে যদি অযোগ্য বলে দাগিয়ে দেওয়া হয় তাহলে তিনি সেই যোগ্য চাকরিহারার পাশে থাকবেন বলেও এদিন আশ্বাস দিয়েছেন।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।

PREV
click me!

Recommended Stories

কেন যান নি গীতাপাঠের অনুষ্ঠানে? দেখুন কী বলছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
Suvendu Adhikari: বঙ্কিমদা বলায় মোদীকে তুলোধনা তৃণমূলের, পাল্টা দিয়ে চরম আক্রমণ শুভেন্দুর