শালিমারে ছোট্ট দোকান থেকে দাউদাউ করে ছড়িয়ে পড়ল আগুন, ছট পুজোতেও অগ্নিকাণ্ড থেকে বাঁচল না বাংলা

৩০ অক্টোবর ভোরবেলা হঠাৎ একটি পান বিড়ির দোকানে আগুন দেখতে পাওয়া যায়। কিছুক্ষণের মধ্যেই সেই আগুন হু হু করে ছড়িয়ে পড়তে থাকে।

Sahely Sen | Published : Oct 30, 2022 7:17 AM IST

বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডের জেরে বিপর্যস্ত হাওড়ার শালিমার। ছুটির সকালে শালিমার স্টেশনের ৫ নম্বর রেল গেটের কাছে ভয়ানক অগ্নিকাণ্ডের জেরে এলাকাবাসীদের মধ্যে শোরগোল পড়ে গেছে। রেলগেটের কাছাকাছি দোকানে রবিবার ভোর ৫টা নাগাদ আগুন লাগে বলে জানা গেছে। এর জেরে পুড়ে ছাই হয়ে যায় বেশ কতগুলি দোকান। তবে, মোটামুটি আধঘণ্টার চেষ্টায় ভয়াবহ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা গিয়েছে। যদিও, ততক্ষণে আগুন ছড়িয়ে পড়ে বেশ কযেকটি দোকান ভূস্মীভূত হয়ে গিয়ে প্রভূত আর্থিক ক্ষতি হয়েছে বলে খবর।

স্থানীয় সূত্র মারফৎ জানা গেছে, ৩০ অক্টোবর ভোরবেলা হঠাৎ একটি পান বিড়ির দোকানে আগুন দেখতে পাওয়া যায়। কিছুক্ষণের মধ্যেই সেই আগুন হু হু করে ছড়িয়ে পড়তে থাকে এবং কয়েক মিনিটের মধ্যে আরও কয়েকটি খাবারের দোকান, মোবাইল রিচার্জ, প্লাস্টিকের খেলনার দোকানে আগুন লেগে যায়। স্থানীয় বাসিন্দারা অতি দ্রুত জল ঢালতে শুরু করেন, কিন্তু চোখের নিমেশে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। স্থানীয়দের উদ্যোগেই তড়িঘড়ি খবর দেওয়া হয় দমকল এবং বি গার্ডেন থানায়। খবর পেয়েই দমকলের দুটি ইঞ্জিন পৌঁছে যায় ঘটনাস্থলে। তার পর প্রায় আধ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন আয়ত্বের মধ্যে আসে।

আগুন লাগার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে পুলিশও। কীভাবে আগুন লাগল, তা এখনও স্পষ্ট নয় বলে জানিয়েছে দমকল। এখনও পর্যন্ত হতাহতের কোনও দুঃসংবাদ না থাকলেও অন্তত ৮টা দোকান সম্পূর্ণ পুড়ে ভস্মীভূত হয়ে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ছট পুজোর উৎসবের আনন্দের মধ্যে রবিবার ভোররাতে বি গার্ডেন থানার অন্তর্গত শালিমার ৫ নম্বর গেট এলাকার বিধ্বংসী আগুনে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন আঞ্চলিক মানুষ। সকালবেলা রাস্তায় বেরিয়েই বিশাল ধোঁয়া দেখতে পান এলাকার বাসিন্দারা।

ঘটনার পর দমকল সূত্রে খবর, আগুন লাগার কারণ এখনও স্পষ্ট নয়। তবে কর্মীরা প্রাথমিকভাবে অনুমান করছেন যে, শর্ট সার্কিটের জেরে আগুন লেগে থাকতে পারে ছোট দোকানটায়। যদিও এবিষয়ে বিস্তারিত তদন্ত করার পরেই জানা যাবে আগুন লাগার আসল কারণ। দমকলের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, প্রায় আটটি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে খাবার দোকান, মোবাইল রিচার্জের দোকান। আগুন লাগার জায়গায় কিছু প্লাস্টিকও ডাম্প করা ছিল বলে জানা গেছে। সেখানে ছড়িয়ে পড়তেই বড় আকার নেয় আগুন। উল্লেখ্য, মাত্র কয়েকদিন আগেই কালীপুজোর উৎসবের মধ্যে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ভস্মীভূত হয়ে যায় বানতলা চর্মনগরীর একটি ব্যাগ তৈরির কারখানা ও গুদাম।

 

আরও পড়ুন-
জগদ্ধাত্রী পুজোতেও সারারাত মিলবে লোকাল ট্রেন, চন্দননগরের আলোকসজ্জা দেখতে আরও বাড়তে পারে যাত্রীদের ভিড়
‘কর্মীদের বেতনই দিতে পারবে না ভিখারি সরকার’, ছট পুজোর অনুষ্ঠানে এসে ফের রাজ্য সরকারকে আক্রমণ শুভেন্দু অধিকারীর
দক্ষিণ কোরিয়ার হ্যালোউইন উৎসবের মৃত্যু পেরিয়ে গেল দেড়শোর গণ্ডী, পরিস্থিতি দেখে বিশ্ব জুড়ে আতঙ্ক!

Share this article
click me!