
পানীয় জলের কল অকেজো অবস্থায় পড়ে আছে। তাই স্কুলের মিড ডে মিলের রান্নার কাজ সারতে হচ্ছে পুকুরের জলে। এমনকী রান্নার বাসনপত্র ধোয়া হচ্ছে পুকুরের জলে। ছাত্রছাত্রীরা তাদের খাবারের থালা ধুচ্ছে পুকুরের জলেই। পুকুরের ঘোলা জলেই ভরসা মিড ডে মিলের রান্নার প্রায় সমস্ত আয়োজন। ওই পুকুরের জলে চলছে বাসন ধোয়া। অনেক সময়েই জলে পড়ে গিয়ে দুর্ঘটনাও ঘটছে। এই ঘটনা দেখে গেল দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার বারুইপুর ব্লকের কল্যানপুর পঞ্চায়েতের চাকারবেড়িয়া মাধ্যমিক শিক্ষা কেন্দ্রে। ছাত্র-ছাত্রীদের পানীয় জল আনতে হচ্ছে রাস্তা পার হয়ে। আর এই কাজে প্রতি পদে পদে থাকছে দুর্ঘটনার আশঙ্কা। অভিযোগ, স্কুল থেকে কল একাধিকবার মেরামত করা হলেও কাজ হয়নি। হাজার ফুটের টিউকলের দাবিতে বারংবার প্রশাসনের সব স্তরে জানানো হলেও কোন সুরাহা হয়নি।
এই স্কুলে মিড ডে মিলের দায়িত্বে থাকা রান্নার কর্মীরা জানালেন, অনেক দিন ধরেই এখানকার পানীয় জলের কলটি খারাপ হয়ে পড়ে রয়েছে। সারানো হচ্ছে না। তাই বাধ্য হয়ে বাসনপত্র, চাল থেকে আনাজ ধোয়া সবই ওই পুকুরের জল ব্যবহার করেই করতে হচ্ছে। স্কুলের পক্ষ থেকে পঞ্চায়েতে বারবার জানানোর পরও কারও টনক নড়ে নি বলে অভিযোগ । তবে তাদের দাবি, রান্নার জন্য তারা পাশের স্কুলের থেকে জল এনে রান্না করেন।
চাকারবেড়িয়া স্কুলের শিক্ষক মনোরঞ্জন কর জানালেন, পুকুরের অস্বাস্থ্যকর জল ব্যবহার করা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। এই সমস্যা নিরসনের জন্য প্রশাসনের সমস্ত জায়গায় আমরা ঘুরেছি। স্কুলের তরফ থেকে অনেকবার কল সারানো হয়েছে, কিন্তু বর্তমানে স্কুলের ফান্ডে টাকা না থাকায় বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। আপাতত রান্নায় ব্যবহৃত জল আনা হচ্ছে পাশের একটি স্কুল থেকে। সামনে গরম তাই এভাবে কতদিন চলবে?
স্কুলের এক ছাত্রী জানাল, মিড ডে মিলের খাওয়ার পর থালা ধুতে গিয়ে পুকুরে একবার পড়ে গিয়েছিলাম। ভয় লাগে তবুও যেতে হয় কি আর করব। বাথরুম ব্যবহারেও ভরসা এই পুকুরের জল। কবে স্কুলের পানীয় জলের কল ঠিক হবে , তারই অপেক্ষা চেয়ে রয়েছে গোটা স্কুল।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।