
জেল থেকে মুক্তির পর এই প্রথম জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক গেলেন নিজের কেন্দ্র হাবড়া বিধানসভা কেন্দ্রে। প্রিয় নেতাকে দেখতে কর্মী সমর্থকদের উচ্ছ্বাস জনজোয়ারের রূপ নিয়েছিল। প্রায় ১৫ মাস পর হাবড়া বিধানসভার নেতা কর্মী সমর্থকরা ফিরে পেলেন প্রিয় বালু দাকে( জ্যোতিপ্রিয়র ডাক নাম)।
জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক রবিবার সকালে পা রাখেন হাবড়ায়। কিন্তু তার আগে থেকেই সহরে বাড়ছিল অনুগামীদের উন্মাদনা। বিধায়কের আসার কারণে সাজ-সাজ রব গোটা হাবড়া জুড়ে । ১৫ মাস পর বিধায়ক হাবড়া গিয়ে যান পুরসভার অফিসে। সেখানে বেশ কিছু ক্ষণ কথাও বলেন কাউন্সিলরদের সঙ্গে । বিধায়কের আসার খবর মিলতেই হাবড়া বিধানসভা এলাকায় পিকনিকের আয়োজন করেছিলেন তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। নেতা কর্মীদের আবদারে সেই সব পিকনিকেও যাবেন বলে আগেই প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। আবদার মেনে পিকনিকের গেলেও খুব বেশি খাওয়াদাওয়া করতে দেখা গেল না । ঘনিষ্ঠমহল থেকে জানা গেছে, হাবড়ার বিধায়ক নিজের খাদ্যাভ্যাসে অনেক বদল এনেছেন চিকিৎসকদের পরামর্শ মেনে।
দীর্ঘ ১৫ মাস পরে হাবড়ার বিধায়ক জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক নিজের বিধানসভা কেন্দ্রে পা রাখতেই তাঁকে দেখতে ভিড় করেছেন কর্মী সমর্থকরা । এদিন তাদের মধ্যে উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মতো। প্রথমে বদর তৃণমূল কংগ্রেসের কার্যালয়ে পরে হাবরা ২ নম্বর রেলগেট থেকে পায়ে হেঁটে যশোর রোড ধরে পৌঁছালেন হাবড়া পুরসভায়। একাধিক জায়গায় পিকনিক শেষে তিনি স্থানীয় নেতৃত্বের সঙ্গেও কথা বলেন।
প্রসঙ্গত, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের ছাত্রজীবন ও যৌবনকালের বেশিরভাগ সময়টাই কেটেছে কলকাতার রাজনীতির ময়দানে। পরবর্তীতে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশেই তিনি উত্তর ২৪ পরগনা জেলার রাজনীতির হাল ধরেন । এরপর ২০০১ সাল ও ২০০৬ সালে গাইঘাটা বিধানসভা থেকে তৃণমূলের প্রতীকে বিধায়ক হয়েছিলেন জ্যোতিপ্রিয়। ২০১১ সালে হাবড়া থেকেই বিধায়ক হয়ে রাজ্য মন্ত্রিসভায় খাদ্যমন্ত্রী হন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। ২০১৬ সালে দ্বিতীয়বার ও ২০২১ সালেও হাবড়া থেকেই জয় পান তিনি।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।