মুকুল রায় তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। তবে ২০১৭ সালে তিনি বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। বিজেপির টিকিটে তিনি প্রথম বিধায়ক হন। যদিও পরবর্তীকালে
প্রাক্তন রেলমন্ত্রী ও বর্তমান কৃষ্ণনগরের বিধায়ক মুকুল রায়ের শারীরিক অবস্থায় রীতিমত আশঙ্কাজনক। নিজের বাড়িতেই পড়ে গিয়ে পায়ে ও মাথায় গুরুতর চোট পান । তাঁরপর তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে তাঁর স্বাস্থ্যের অবস্থা আশঙ্কাজনক। জানিয়েছেন হাসপাতালের এক কর্মকর্তা।
বৃহস্পতিবারই তিনি পড়েগিয়েছিলেন। আহত হয়েছে। তাঁকে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতাল সূত্রের খবর মুকুল রায়কে সর্বক্ষণের পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। তৈরি কর হয়েছে একটি মেডিক্যাল বোর্ড। প্রয়োজনীয় চিকিৎসা ব্যবস্থা করা হয়েছে। তেমনই জানিয়েছে হাসপাতাল সূত্র। পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করছে হাসপাতাল।
মুকুল রায় তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। তবে ২০১৭ সালে তিনি বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। বিজেপির টিকিটে তিনি প্রথম বিধায়ক হন। যদিও পরবর্তীকালে বিধানসভা ভোটে জিতে মুকুল রায় ২০২১ সালে আবার তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরে আসেন বলে দাবি করে। যদিও মুকুল রায় এই বিজেপির বিধায়ক পদ ছাড়েননি। বাংলায় তাঁকে চাণক্যের সঙ্গে তুলনা করা হয়। দলবদলের আগে পর্যন্ত মুকুল রায় মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ হিসেবেই পরিচিত ছিলেন। তাঁকে তৃণমূলের সেনাপতি বলা হত। দল বদলের বিজেপির শীর্ষ নেতাদের সঙ্গেও তাঁর ঘনিষ্ঠতা ও সখ্যতা ছিল দেখার মত। অমিত শাহের বিশেষ কাছের মানুষ ছিলেন তিনি। যাইহোক বিধায়ক হওয়ার আগেই মুকুল রায়ে সাংসদ হয়েছেন। তিনি রেলমন্ত্রীর দায়িত্বও পালেন করেছেন।
সম্প্রতি স্নায়ুরোগে আক্রান্ত ছিলেন ৭০ বছরের মুকুল রায়। অধিকাংশ সময় নিজের কাঁচরাপাড়ার বাড়িতেই কাটাতেন। বুধবার নিজের বাড়ির বাথরুমে পড়ে যান। সংজ্ঞা হারিয়ে ফেরেন। চিকিৎসকদের অনুমান সেই সময় তাঁর মাথা ও পায়ে চোট ছিল। মস্তিষ্কের অপারেশন হয়। হাসপাতাব সূত্রের খবর এখনও জ্ঞান ফেরেনি। অন্যদিকে তাঁর শারীরিক অবস্থা বর্তমানে সংকটজনক বলেও জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।