মহিলা চিকিৎসকের রহস্যময় মৃত্যু, হাতের চ্যানেল দিয়ে রক্তপাতের পরই মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি

Published : Oct 18, 2025, 11:32 AM IST

পূর্ব মেদিনীপুরে চিকিৎসকের রহস্যময় মৃত্যু। সকালে বাড়িফেরার পরই হাতের চ্যানেল দিয়ে রক্তপাত। তারপরই মাটিতে লুটিয়ে পড়েন চিকিৎসক। যা দেখে রীতিমত অবাক নিহতের মা। 

PREV
16
মহিলা চিকিৎসকের রহস্যমৃত্যু

ভাড়াবাড়িতে মহিলা চিকিৎসকের রহস্যজনক মৃত্যু তমলুকের ভাড়াবাড়িতে। মৃত মহিলার হাতে স্যালাইনের চ্যানেল নিয়ে রহস্য তৈরি হয়েছে। কারণ কোথা থেকে এসেছে এই চ্যানেল? তাই নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

26
শুক্রবার সকালে মৃত্যু

হাতের স্যালাইনের চ্যানেল থেকে রক্ত বার হচ্ছিল। তারপরই হঠাৎ করে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। কিছুক্ষণ পরেই মহিলার দেহ নিথর হয়ে যায়। শুক্রবার সকালেই নিজের ভাড়া বাড়িতে ফিরেছিলেন মহিলা। এই অবস্থায় দ্রুত তমসুক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তখন চিকিৎসকা মৃত বলে জানিয়ে দেন।

36
মৃতের পরিচয়

পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন মহিলা চিকিৎস শালিনী দাস। তাঁর বয়স মাত্র ৩০। কাঁথি হাসপাতালে অ্য়ানাস্থেসিয়া বিভাগে কাজ করতেন। এছাড়াও একাধিক বেসরকারি হাসপাতাল আর নার্সিংহোমের সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন শালিনী। তাঁর বাড়ি দমদমে। তমলুকের ভাড়া বাড়িতে মাকে নিয়ে থাকতেন।

46
শোকস্তব্ধ মা

নিহতের মা জানিয়েছেন, শুক্রবার সকালেই বাড়ি থেকে বেরিয়ে ছিলেন শালিনী। সেখান থেকে আবারও বাড়ি ফেরেন। তারপরই তাঁর মৃত্যু হয়। কিন্তু শালিনীর কী কী রোগ ছিলে সে সম্পর্কে কিছুই জানেন না তিনি। মায়ের দাবি মেয়ের হাতে স্যালাইনের চ্যানেল দেখে তিনি অবাক হয়ে যান।

56
রহস্য চ্যানেল নিয়ে

নির্যাতিতার মা জানিয়েছেন, তিনি যখন শুক্রবার সকালে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন, সেই সময় তাঁর হাতে কোনও চ্যানেল ছিল না। বাড়ি ফেরার পরে চ্যানেল দেখে তিনি কিছুটা অবাক হয়ে যান। কিন্তু চ্যানেলের কারণ নিয়ে কিছু জিজ্ঞাসা করার আগেই ঘটে যায় মর্মান্তিক ঘটনা। মেয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। নির্যাতার হাতের চ্যানেল থেকে হঠাৎই রক্তপাত হচ্ছিল বলেও জানিয়েছেন নির্যাতিতার মা।

66
পুলিশের বয়ান

কি কারণে মৃত্যু তদন্ত শুরু করেছে তমলুক থানার পুলিশ। তমলুক মহাকুমা পুলিশ আধিকারিক আফজল আবরার জানিয়েছেন কি কারনে মৃত্যু হয়েছে জানা যায়নি। মৃতদেহ ময়নাতদন্ত করতে পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্তে রিপোর্ট না পাওয়া গেলে কিছু বলা সম্ভব হচ্ছে না। কাঁথি মহকুমা হাসপাতালের সুপার ডাঃ অরূপ রতন করন জানিয়েছেন মহকুমা হাসপাতাল একজন ডাক্তারবাবু অসুস্থ হয়ে যাওয়ার কারণে তার পরিবর্তে ডাঃ শালিনী দাস নন্দীগ্রাম স্বাস্থ্য জেলা থেকে ডেপুটেশনে এসেছিলেন কাজ করতে।

Read more Photos on
click me!

Recommended Stories