'আর চাপ নিতে পারছি না বিদায়' , SIR হিয়ারিং-এর দ্বিতীয় দিনে আত্মঘাতী বিএলও

Published : Dec 28, 2025, 07:09 PM IST
Mystery surrounds the death of a BLO in Bankura

সংক্ষিপ্ত

মৃত বিএলও-র নাম হারাধন মণ্ডল। বাঁকুড়ার রাজসকাটা মাঝেরপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। রানিবাঁধের ২০৬ নম্বর বুথের রাজাকাটা এলাকায় বিএলও-র দায়িত্বে ছিলেন। 

'আর চাপ নিতে পারছি না বিদায়'। এমনটাই লিখে আত্মঘাতী বাঁকুড়ার এক বিএলও। স্কুলেরই ক্লাসরুম থেকে উদ্ধার হল প্রধান শিক্ষকের ঝলন্ত দেহ। স্থানীয়দের অভিযোগ বিএলও-র দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে প্রবল সমস্য়ায় পড়েছিলেন। আর সেই কারণেই তিনি আত্মহত্যা করেন।

বিএলওর মৃত্যু

স্থানীয় সূত্রে খবর, মৃত বিএলও-র নাম হারাধন মণ্ডল। বাঁকুড়ার রাজসকাটা মাঝেরপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। রানিবাঁধের ২০৬ নম্বর বুথের রাজাকাটা এলাকায় বিএলও-র দায়িত্বে ছিলেন।

বুথের কিছু ভোটারের শুনানিতে ডাক পড়ে। এদিন তাদের নথি জোগাড় করার নাম করে বাড়ি থেকে বেলা ১০টা নাগাদ বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। পরে পরিবারের সদস্যরা তাঁর খোঁজ খবর শুরু করে। শেষপর্যন্ত স্কুলে গিয়ে ক্লাসরুম থেকে উদ্ধার হয় বিএলও-র দেহ।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, স্কুলের একটি ক্লাসরুমের সিলিং ফ্যানে গলায় দড়ির ফাঁস লাগানো অবস্থায় দেহ উদ্ধার হয় মাস্টার মশাইয়ের। তাঁর দেহের পাশে পড়ে ছিল একটি সুইসাইড নোট। স সেখানেই লেখা ছিল, 'আমি আর চাপ নিতে পারছি না বিদায়। এই বিএলও কাজের জন্যে আমি দায়ী। এর সঙ্গে কারও যোগাযোগ নেই। ভুল আমার।' সুইসাইড নোটে তিনি নিজের পুত্রর কথাও উল্লেখ করেন। লেখেন, তাঁর পুত্রকে তিনি কোনও কাজ করতে দেননি। সব কাজই নিজে করেছেন। তিনি লেখেন, 'আমি কাউকে বিশ্বাস করি নাই। সব ঠিক কলেও ভুল করলাম। ক্ষমা কর আমাকে।'

এনুমারেশন ফর্ম সংগ্রহের কাজ শেষ হয়েছে। শুরু হয়েছে দ্বিতীয় পর্বের কাজ। নো ম্যাপিং ভোটারদের নোটিশ পাঠিয়ে ডাকা হচ্ছে হিয়ারিং-এর জন্য। রবিবার শুনানির দ্বিতীয় দিনেই আত্মঘাতী হলেন রাজ্যের এক বিএলও।

 

PREV
Read more Articles on
click me!

Recommended Stories

Humayun Kabir : ছেলের জামিন হওয়ার আগেই থানা ছাড়লেন হুমায়ুন! এমন কথা কেন বলে গেলেন?
'দীপু দাসকে যারা মেরেছে তাঁরা সকলেই মমতাকে ভালোবাসে', সৌগতর কথার ব্যাখ্যা শুভেন্দুর