গোটা রাজ্য জুড়ে দুর্যোগপূর্ণ অবহাওয়ার জন্য সতর্কতা জারি করেছে রাজ্য সরকার। ইতিমধ্যেই পাঁচ দেলায় বজ্রবিদ্যৎসহ প্রবল বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এই অবস্থায় কড়া সতর্কতা জারি করা হয়েছে নবান্ন থেকে। প্রত্যেকটি জেলা প্রশাসনকে দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে আগামী কয়েক দিন এই দুর্যোগপূর্ণ অবহাওয়া থাকবে।
রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ জেলা শাসকদের সতর্ক ও প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। দুর্যোগপূর্ণ পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে সব রকম প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনীয় ত্রাণ সামগ্রী প্রস্তুর রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। পাশাপাশি পানীয় জল আর ত্রিপল মজুত রাখতে বলেছেন। পরিস্থিতি সামাল দিতে দ্রুত ভাঙা বাঁধ মেরামতি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে বিশেষ সতর্কতা নেওয়া হয়েছে। নিচু এলাকায় জমা জল বার করতে পাম্পের ব্যবস্থা করতেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, বীরভূম এবং মুর্শিদাবাদ জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সতর্কতা জারি করেছে আলিপুর হাওয়া অফিস। দক্ষিণবঙ্গের বাকি জেলাতেও বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে। বাঁকুড়া পুরুলিয়া ঝাড়গ্রাম পশ্চিম মেদিনীপুর এবং পশ্চিম বর্ধমান এই জেলাগুলিতে অতিভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সোমবার পর্যন্ত বৃষ্টি হবে। মঙ্গলবার থেকে ধীরে ধীরে বৃষ্টি কমতে শুরু করবে। ইতিমধ্যেই উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে সতর্ক করার কাজ শুরু হয়েছে। মৎস্যজীবীদের মাছ ধরতে যাওয়ার ওপরেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
শনিবার সারা দিন প্রবল বৃষ্টি হয়েছে। উপকূলবর্তী এলাকায় ঘণ্টায় ৫০ কিমি বেগে দমকা বাতাসের ফলে জনজীবন বিপর্যস্ত । রাস্তাঘাট ছিল শুনশান। রাতভরও বৃষ্টি হচ্ছে। বেলা বা়ড়লেও বৃষ্টির পরিমাণ কমেনি। আজও দিনভর ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে দক্ষিণবঙ্গের কয়েকটি জেলায়। সুন্দরবন এলাকায় বৃষ্টি ও ঝড়ের তীব্রতা বেশী। উপকূলবর্তী এলাকায় প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ভেঙে পড়েছে কাঁচাবাড়ি, উপড়ে পড়েছে গাছ ও বিদ্যুতের খুঁটি। জেলার ডায়মন্ড হারবার, কাকদ্বীপ, নামখানা, সাগর সহ একাধিক নিচু এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। ঘরের মধ্যে ঢুকেছে জল। জলমগ্ন একাধিক নিচু রাস্তা। টানা ভারী
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।