নবান্ন সূত্রের খবর সরকরি পরিষেবা পেতে গিয়ে যদি কোনও সাধারণ মানুষকে হয়রানির শিকার হতে হয় সরকারি কর্মী বা কর্মীদের হাতে তাহলে তিনি সংশ্লিষ্ট কর্মী বা কর্মীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে পারেন।
এবার বিপাকে সরকারি কর্মীরা। নবান্ন সূত্রের খবর, এবার সরকারি কর্মীরা কাজে ফাঁকি দিলে তাদের জরিমানা করা হবে। যদিও এই নিয়ম আগেই ছিল, তবে এবার জরিমানার পরিমাণ বাড়িয়ে ১০ হাজার টাকা করা হয়েছে। সরকারি চাকরি মানেই সুখের চাকরি বলে একটা ধারনা ছিল। এবার সেই ধারনা ভ্রান্ত প্রমাণিত হওয়ার মুখে। সরকারি পরিষেবা পেতে নিয়ে সাধারণ মানুষকে যাতে হয়রানির শিকার হতে না হয় তার জন্যই এই পদক্ষেপ করা হয়েছে বলেও সূত্রের খবর।
নবান্ন সূত্রের খবর সরকরি পরিষেবা পেতে গিয়ে যদি কোনও সাধারণ মানুষকে হয়রানির শিকার হতে হয় সরকারি কর্মী বা কর্মীদের হাতে তাহলে তিনি সংশ্লিষ্ট কর্মী বা কর্মীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে পারেন। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছেই অভিযোগ করতে হবে। প্রথমবার অভিযোগকারী উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ দায়ের করতে পারেন। সেখানে যদি সমস্যার সমাধান না হয় তাহলে অভিযোগকারীকে সরাসরি যেতে হবে জন পরিষেবা অধিকার কমিশনে। সেখান থেকেই তদন্ত করা হবে। যদি কোনও সরকারি আধিকারিককে দোষী সাব্যস্ত করা হয় তাহলে সংশ্লিষ্টকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা হিসেবে দিতে হবে।
নবান্ন সূত্রের খবর রেশন কার্ড, বার্থ ও ডেথ সার্টিফিকেট, জমির মিউটেশন, ড্রাইভিং লাইসেন্স ইত্যাদি ক্ষেত্রে বেশী জোর দিচ্ছে নবান্ন।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার গঠন করার পরই ২০১১ সালে এজাতীয় পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। সেই সময়ই তিনি ঘোষণা করেছিলেন সরকারি পরিষেবা সাধারণ মানুষের জন্য। তাই তাদের হয়রান না করতেই পরামর্শ দিয়েছিলেন। সরকারি পরিষেবা সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য দুয়ারে সরকার প্রকল্প চালু করেছে। সেখানে সরকারই সাধারণ মানুষের কাছে দিয়ে পরিষেবা দিয়ে আসার কথা বলে । এবারও সাধারণ মানুষ যাতে আরও ভালো করে সরকারি পরিষেবা পায় তারও ব্যবস্থা করলেন বলেও মনে করেছেন অনেকে। তবে সরকারি কর্মীদের সঙ্গে কিন্তু রাজ্য সরকারের সুসম্পর্ক মোটেও নেই। ডিএ-র দাবিতে যখন একদল সরকারী কর্মী আন্দোলন শুরু করেছে তখন এজাতীয় পদক্ষেপ যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেও মনে করছে অনেক সরকারী কর্মী।