West Bengal Flood Situations: বর্ষায় শুরুতেই বন্যা পরিস্থিতিতে জেরবার বাংলার বিস্তীর্ণ এলাকা। ডিভিসি থেকে না জানিয়ে জল ছাড়া নিয়ে ক্ষুদ্ধ নবান্ন। বিশদে জানতে সম্পূর্ণ ফটো গ্যালারি দেখুন…
গত কয়েক দিনের বর্ষার জেরে এমনিতেই পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোণা, ঘাটালে বন্যা পরিস্থিতি। তার উপর শুক্রবার রাত থেকে জল ছাড়ার পরিমাণ আরও বৃদ্ধি করেছে ডিভিসি। যারফলে ফের বাংলার আকাশে তৈরি হয়েছে বন্যা পরিস্থিতির অশনি সঙ্কেত।
210
জল ছাড়ছে ডিভিসি
সূত্রের খবর, দফায় দফায় ডিভিসি ছাড়ছে জল। যারফলে গত বছরের ভয়ঙ্কর বন্যা পরিস্থিতি আতঙ্ক ফেরাচ্ছে সোনামুখীর দামোদর তীরবর্তী এলাকার কৃষকদের। এখন কৃষকদের মাঠ ভর্তি সবজি জমিতে। এই পরিস্থিতিতে গতবারের মতো চাষের জমি জলের তলায় চলে গেলে কৃষকদের বেঁচে থাকার উপায় থাকবে না। ফলে বর্ষার শুরুতেই কৃষকদের আতঙ্ক ধরাচ্ছে ডিভিসি ।
310
নবান্নকে না জানিয়ে ছাড়ল জল
জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাত থেকে শনিবার সকাল পর্যন্ত ডিভিসির তরফে ৭০,৪৭৫ কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে দুর্গাপুর ব্যারাজ থেকে। এত পরিমাণ জল ছাড়লেও নবান্নের কর্তাদের না জানিয়ে ফের জল ছাড়ায় রাজ্যে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
দুর্গাপুর ব্যারাজ থেকে অতিরিক্ত পরিমাণ জল ছাড়া নিয়ে DVC কর্তৃপক্ষকে কড়া বার্তা দেওয়া হয়েছে নবান্নের তরফে। যদিও এই বিষয়ে ডিভিসি কর্তৃপক্ষের দাবি, ঝাড়খণ্ডে প্রবল বর্ষণের কারণে জল বাড়ছে দামোদর-বরাকরে। বৃষ্টির জেরে মাইথন-পাঞ্চেত থেকে আরও বেশি জল ছাড়া হচ্ছে। ফলে নিম্ন দামোদর ও মুণ্ডেশ্বরীতে জলস্তর আরও বাড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
510
একাধিক জেলায় বন্যা পরিস্থিতি
ডিভিসির এই অতিরিক্ত জল ছাড়া নিয়ে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় বিশেষ করে পূর্ব বর্ধমান, বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, হুগলি সহ বিভিন্ন জেলায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
610
বন্যার জেরে বিদ্যুৎ বিভ্রাট
এদিকে একটানা বৃষ্টি তার উপর ডিভিসির জল ছাড়ার কারণে রাজ্যে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের সমস্যা দেখা দিয়েছে। শিলাবতী নদীর জল বেড়ে যাওয়ায় মেদিনীপুর ও ঘাটাল ডিভিশনের বহু এলাকায় বিদ্যুতের সমস্যা দেখা দিয়েছে।
710
বন্যা পরিস্থিতির দিকে নজর নবান্নের
ইতিমধ্যে রাজ্যের যে সমস্ত অঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে সেই সমস্ত এলাকায় কড়া নজরদাড়ি রাখছে প্রশাসন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে জেলায়-জেলায় প্রশাসনকে ফোন করে বন্যা পরিস্থিতির খোঁজ নিচ্ছেন মুখ্য সচিব মনোজ পন্থ।
810
বাঁকুড়াতেও বন্যা পরিস্থিতি
বাঁকুড়া জেলার সোনামুখী ব্লকের রাধামোহন পুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উত্তর নিত্যানন্দপুর সমিতি মানা কেনেটি পান্ডেপাড়া সহ বেশ কয়েকটি গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে দামোদর নদী। প্রতিবছর DVC র ছাড়া জলে এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়। এবারও তৈরি হয়েছে সেই আশঙ্কা।
910
কয়েকশো বিঘা জমি জলের তলায়
এই এলাকায় ১০০ শতাংশই মানুষ কৃষিজীবী। গত বছর DVC র ছাড়া জলে বন্যায় কৃষকদের কয়েকশো বিঘা জমি জলের তলায় চলে যায়। জলমগ্ন হয়ে পড়েছিল কৃষকদের বাড়িঘর। ঘর ছাড়া হয়েছিল বহু কৃষক পরিবার। এবারও বেশ কয়েকদিন ধরেই টানা বৃষ্টির জেরে দফায় দফায় DVC জল ছাড়তে শুরু করেছে।
1010
জল ছাড়ার পরিমাণ কমিয়েছে DVC
স্বাভাবিকভাবেই দামোদর নদীর জলস্তর বাড়ছে। আর এতেই আতঙ্কিত এলাকার কৃষকরা। গত বছরের ভয়ঙ্কর বন্যার স্মৃতি ফেরাচ্ছে তাদের চোখে মুখে। যদিও শনিবার থেকে জল ছাড়ার পরিমাণ কিছুটা কম করেছে ডিভিসি।