
Nadia SIR News: রাজ্যে SIR কার্যকর, বিএলও নিয়োগে অসংগতি অভিযোগ — রাজনৈতিক সংঘাত চরমে। রাজ্যে SIR প্রক্রিয়া শুরু হতেই বিএলও নিয়োগকে ঘিরে উত্তেজনা চরমে। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশিকা অনুযায়ী সরকারি কর্মচারী, বিশেষ করে স্কুল শিক্ষকদের বিএলও করার কথা থাকলেও, বাস্তবে সেই নিয়ম মানা হচ্ছে না— এমনই অভিযোগ বিরোধীদের।
রানাঘাট পৌরসভার ২৮ নম্বর ওয়ার্ডে আইসিডিএস কর্মী লিপিকা চক্রবর্তীকে বিএলও নিয়োগ করা হয়েছে। বিরোধীদের দাবি, তিনি শাসক দলের ঘনিষ্ঠ। একই অভিযোগ বারাসাত গ্রাম পঞ্চায়েতের ৮৭/৮৩ নম্বর বুথের বিএলও রূপা বৈরাগীর ক্ষেত্রেও। তার স্বামী তৃণমূলের জেলা পরিষদের প্রাক্তন সদস্য ও পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন সদস্য। দুই ক্ষেত্রেই রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে বিএলও করার অভিযোগ উঠেছে।
বিজেপি ও সিপিএমের অভিযোগ — শাসক দলের ঘনিষ্ঠদের দিয়ে SIR করিয়ে প্রভাব বিস্তার করতে চাইছে তৃণমূল। রানাঘাট উত্তর-পশ্চিমের বিজেপি বিধায়ক পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায় অভিযোগ করেছেন, “পুরো নদিয়া জেলাতেই বিএলও নিয়োগে অনিয়ম হয়েছে।”
তৃণমূল অবশ্য অভিযোগ উড়িয়ে পাল্টা বলেছে, বিরোধীরা অযথা বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। রানাঘাট–১ ব্লকের জয়েন্ট বিডিও জানিয়েছেন, “কর্মী সংকটের কারণে বাধ্য হয়ে এই নিয়োগ। SIR কাজে কোনো অনিয়ম হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” SIR শুরুর প্রাথমিক পর্যায়েই বিএলও তালিকা নিয়ে বিতর্ক প্রশাসনকে অস্বস্তিতে ফেলেছে।
অন্যদিকে, প্রথম থেকেই SIR নিয়ে আপত্তি জানিয়ে আসছিল তৃণমূল কংগ্রেস। সরব ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় আর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়। এবার সেই বিরোধিতার সুর আরও চড়াল তৃণমূল। মঙ্গলবার রাজ্যে শুরু হবে SIR। সেই দিনই পথে নামছেন তৃণমূল সুপ্রিম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আর 'সেনাপতি' অভিষেক।
নির্বাচন কমিশনের ঘোষণা অনুযায়ী মঙ্গলবার থেকে রাজ্যে শুরু হয়ে যাচ্ছে SIR। ইতিমধ্যেই বিএলওদের প্রশিক্ষণপর্ব শেষের পথে। মঙ্গলবার থেকেই বাড়ি বাড়ি যেতে পারেন বিএলওরা। কমিশনের ঘোষণা অনুযায়ী ২০০২ সালের ভোটার লিস্টকেই প্রাধান্য দেওয়া হবে। কমিশনও জানিয়েছে যাদের ২০০২ সালের ভোটার লিস্টে নাম নেই তাদের কোনও সমস্যা নেই। বাবা ও মায়ের নাম থাকলেই হবে।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।