মাথা নিচু-হাত জোড় করে মঞ্চে দাঁড়িয়ে ক্ষমা চাইলেন নরেন্দ্র মোদী! কী করেছেন তিনি?
মঙ্গলবার, বারুইপুরে যাদবপুর কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায় ও কলকাতা দক্ষিণ লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী দেবশ্রী চৌধুরীর সমর্থনে সভা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেখানেই প্রকাশ্য সভায় ক্ষমা চাইতে দেখা গেল তাঁকে! কিন্তু কেন?
আগামী ১ জুন শেষ দফার ভোট। উত্তর কলকাতা, দক্ষিণ কলকাতা, ডায়মন্ড হারবার, বসিরহাট সহ বেশ কয়েকটি হাইভোল্টেজ আসনে নির্বাচন রয়েছে সেদিন। তার আগে মঙ্গলবার তিলোত্তমার বুকে একাধিক জনসভা করেন প্রধানমন্ত্রী মোদী।
এদিন মোদী বলেন, 'কেন্দ্রীয় স্তরে ১০ বছরে কোনও দুর্মীতি হয়নি। মোদি দেশ ও পশ্চিমবঙ্গে নতুন গ্যারান্টি দিচ্ছে। যে দুর্নীতি করেছে তার থেকে আদায় করা হবে আর যে দুর্নীতির শিকার তাকে ফের দেওয়া হবে। তৃণমূলের নেতাদের কাছ থেকে যে টাকার পাহাড় উদ্ধার হয়েছে তার হিসেব হবে, কীভাবে তা প্রতারিতদের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া যায় সেই জন্য আইনি পথ তৈরি করছি আমি।
মোদী আরও বলেন এখনও পর্যন্ত মানুষের থেকে লুঠ করা ১৭ হাজার কোটি টাকা আমি মানুষকে ফিরিয়ে দিয়েছি। বাংলার মানুষও যাতে লুঠ হওয়া টাকা ফিরে পায়, তার পূর্ণ চেষ্টা করছি। দুর্নীতি বাজদের কালো টাকার এক্সরে বের করব আমি। এমন এক্সরে যে এদের পরবর্তী প্রজন্ম দুর্নীতি করার আগে ভাববে।'
লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে এসে আবারও বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্রর প্রশংসায় পঞ্চমুখ নরেন্দ্র মোদী। তিনি বসিরহাটের প্রার্থীকে মা দুর্গার পুজারীর সঙ্গে তুলনা করেন। তিনি রেখাকে 'বাহাদুর বেটি' বলেও সম্বোধন করেন।
মঙ্গলবার বারাসত লোকসভা কেন্দ্রে বারাসতের বিজেপি প্রার্থী স্বপন মজুমদার ও বসিরহাটের প্রার্থী রেখা পাত্রের সমর্থনে জনসভা করেন। তবে বারাসতে জনসভা করলেও তিনি বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন বসিরহাট কেন্দ্রে।
সভামঞ্চে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘বাংলার মাটি বাংলার জল’ কবিতার কয়েকটি লাইন বলতে শোনা যায় তাঁকে। আর সেই লাইনগুলি বলার পরেই মোদী বলেন, ‘আমি আমার উচ্চারণ ভুলের জন্য আপনাদের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী।’
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের অনেকেই মনে করছেন, এর অশোকনগরের সভাতেও বাংলা উচ্চারণ করতে গিয়ে কার্যত ‘হোঁচট’ খেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘কেমন আছেন বারাসতবাসী? কেমন আছেন বসিরহাটবাসী (মোদী উচ্চারণ করেন কেমেন)।
তিনি বলেন আপানাদের সকলকে আমার বিনম্র শ্রদ্ধা প্রণাম ও আর ভালবাসা (মোদী উচ্চারণ করেন ভালোবাস)।’ আর তারপরেই পেরই বারুইপুরে সভা নিজেই নিজের বাংলা উচ্চারণ নিয়ে ক্ষমা চান মোদী।