আর মাত্র কয়েক মাস বাকি রয়েছে ২০২৬এর বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে এখন থেকেই রণকৌশল তৈরি করছে বিজেপি। প্রচারের পাশাপাশি দলীয় কোন্দল মেটাতে তৎপর গেরুয়া শিবির।
বিধানসভা ভোটের আর এক বছরও বাকি নেই। কিন্তু এখন থেকেই বিজেপি ভোট রণকৌশল ঠিক করতে ব্যস্ত। ভোট প্রচারের পাশাপাশি নির্বাচনী কৌশলের ব্লু প্রিন্ট তৈরি করছে পদ্ম শিবির। তেমনই বলছে একটি সূত্র। ১৪১টি বিধানসভা কেন্দ্র ধরে ধরে ঘুঁটি সাজাচ্ছে বিজেপি।
26
প্রচার কৌশল
বাংলা বিজেপি প্রচার কৌশলের ওপর বিশেষ জোর দিচ্ছে। বিজেপির একটি সূত্রের খবর বাংলা বিজেপি চলতি বছর অক্টোবরের শেষ বা নভেম্বর মাস থেকেই ভোট প্রচার শুরু করে দিতে পারে। অর্থাৎ উৎসবের মরশুমের পর থেকেই ভোট প্রচারের দামামা বাজাবে। আর সেই জন্য ইতিমধ্য়েই দিল্লিতে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে বিজেপি।
36
ভোটের মুখ মোদী
বিজেপি সূত্রের খবর, রাজ্য বিজেপি নেতারা চাইছেন, এবার থেকে এই রাজ্যে এলেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যাতে জনসভা করেন তারই ব্যবস্থা করা। ইতিমধ্যেই দুর্গাপুর আর দমদমে সেই ব্যবস্থা করা হয়েছিল। কিন্তু দমদমের জনসভায় ভিড় না হওয়ায় কিছুটা হলেও অস্বস্তি বাড়িয়েছে পদ্মশিবিরের। তাই রণকৌশল আগামী দিনে বদল করতে পারে বিজেপি। তেমনই বলছে নাম প্রকাশে অনুচ্ছুক পদ্ম শিবিরের এক নেতা।
বিজেপি সূত্রের খবর, আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর সেনার একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পশ্চিমবঙ্গে আসতে পারেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই সময়ও মোদী যাতে একটি জনসভা করতে পারেন তার আবেদন আগেই জানিয়েছিল রাজ্য বিজেপির নেতারা। কিন্তু সেই কর্মসূচি নিয়ে এখনও কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি কেন্দ্রীয় বিজেপি। তেমনই বলছে একটি সূত্র। উল্টে দিল্লির বিজেপি বঙ্গ বিজেপিকে পরামর্শ দিয়েছে, এখন থেকেই একজোট হয়ে লড়াই চালিয়ে যেতে হবে। তাতেই বাড়বে আসন সংখ্যা।
56
প্রচারে প্রধান নরেন্দ্র মোদী
বিজেপি সূত্রের খবর, অন্যান্য রাজ্যের মত বঙ্গেও বিজেপি ভোটের আগে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থীর কথা ঘোষণা করবে না। নরেন্দ্র মোদীকে মুখ করেই নির্বাচনী লড়াইয়ে সামিল হবে। ভোটে জিতলে বিজেপি বিধাকরাই মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচন করবেন। নাম প্রকাশে অনৈচ্ছুক এক বিজেপি নেতা জানিয়েছেন, মোদী তাদের সবথেকে শক্তিশালী অস্ত্র। সেই কারণেই মোদীকে ভোট প্রচারে অনেক ভেবে চিন্তে ব্যবহার করা হবে।
66
আসন নিয়ে রণকৌশল
বিজেপি সূত্রের খবর ১৪১টি বিধানসভা কেন্দ্র ধরে ধরে পর্যালোচনা করা হয়েছে। কোন আসনে বিজেপি শক্তিশালী তাও খতিয়ে দেখা হয়েছে। যেগুলিতে শক্তিশালী বা অল্পের জন্য গত নির্বাচনে হেরেছে বিজেপি সেগুলিতে প্রথম থেকেই জোর দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি দোদুল্যমান হিসেবে চিহ্নিত রয়েছে ৪৭টি আসন। সেগুলিতে বিশেষ জোর দেওয়া হচ্ছে জনসংযোগে। বিজেপির একটি সূত্র বলছে যেগুলিতে বিজেপি শক্তিশালী নয়, সেগুলি নিয়ে এখন থেকে কোনও রণকৌশল তৈরি করা হবে না। আগামী বছরেই সেগুলি নিয়ে চিন্তাভাবনা করা হবে। তবে বঙ্গ বিজেপির কোন্দল মেটাতে প্রথমে বলা হয়েছে রাজ্য নেতৃত্বকে। তাহলে জয় সহজ হবে, তেমনই চিন্তাভাবনে গেরুয়া শিবিরের।