বাজার থেকে প্রায় ৪০০ ওষুধ উধাও। তাও আবার সুগার প্রেসারের মত রোগের। লোকসানের আশঙ্কায় বাজার থেকে উধাও হয়ে গেছে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের জনপ্রিয় কয়েকশো গুরুত্বপূর্ণ ও জনপ্রিয় ওষুধ। বিক্রেতাদের আশঙ্কা জিএসটির কারণেই এই সমস্যা।
বাজার থেকে প্রায় ৪০০ ওষুধ উধাও। তাও আবার সুগার প্রেসারের মত রোগের। লোকসানের আশঙ্কায় বাজার থেকে উধাও হয়ে গেছে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের জনপ্রিয় কয়েকশো গুরুত্বপূর্ণ ও জনপ্রিয় ওষুধ। যার কারণে যথেষ্ট বিপাকে পড়েছে রোগী ও তাদের আত্মীয়রা।
26
জিএসটি-র কোপে ওষুধ?
মানুষের খরচ কমাতে অত্যাবশ্যকীয় পণ্য়ে জিএসটি কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল মোদী সরকার। তা কার্যকরও করা হয়েছে। বিভিন্ন ওষুধের ওপর ৪.৭৭ থেকে ১১.০২ শতাংশ জিএসটি কমানোর কথা ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু তারপর থেকেই উধাও হয়ে গেছে ওষুধ।
36
ব্যবসায়ীদের ক
থা
ওষুধ ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, ৬-৭ শতাংশ লোকসানে ব্যবসা করা তাদের পক্ষে সম্ভব নয়। আর সেই কারণে যতদিন নতুন প্রিন্টে ওষুধ বাজারে না আসছে ততদিন এই জটিলতা চলবে। অর্থাৎ নতুন ওষুধ না আসা পর্যন্ত সুগার প্রেসারের মত গুরুত্বপূর্ণ ওষুধ পেতে বেগ পেতে হবে রোগী ও তাদের পরিবারের সদস্যদের।
রাজ্যে ওষুধের দোকানের সংখ্যা প্রায় ৫০ হাজার। যারমধ্যে ৭০ শতাংশই খুচরো বিক্রেতা। অধিকাংশ দোকানের বার্ষিক লেনদেন বছরে ৪০ লক্ষ টাকার নিচে। তাই জিএসটি রেজিস্ট্রেশন বাধ্যতামূলক নয়। তাই জিএসটি নিয়মে স্টক বাড়ানো জরুরি নয়।
56
ওষুধের হাহাকার
রাজ্যজুড়ে সুগার, ব্লাড প্রেশার, কোলেস্টেরল, প্রস্টেট, ব্যাথা-সহ বিভিন্ন ধরনের ওষুধ ইনজেকশনের অভাব দেখা দিয়েছে। যোগান কমছে ইনসুলিন কার্টিজের। মেদ কমানোর ইনজেকশনও পাওয়া যাচ্ছে না। সমস্যা দেখা দিয়েছে জরুরি ইউরিক অ্যাসিডের ওষুধের ব্র্যান্ডেরও।
66
কবে মিলবে ওষুধ?
পুজোর জন্য স্টকিস্টদের সেন্টার বন্ধ ছিল। লক্ষ্মী পুজোর পর তা খুললেও ওষুধের বাজার স্বাভাবিক হয়নি। এক ব্যবসায়ী আশঙ্কা করছেন, ওষুধ কোম্পানিগুলি নতুন প্রিন্টের ওষুধ আনার আগে পুরনো স্টক ক্লিয়ার করতে চাইছে। ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় রয়েছে। নতুন এমআরপি প্রিন্ট আসার আগে উৎপাদন বাড়াতে নারাজ ওষুধ কোম্পানিগুলি। সেই কারণে ওষুধের আকাল দেখা দিয়েছে।