ফেস্টের নামে পড়ুয়াদের থেকে তোলা হচ্ছে লক্ষাধিক টাকা, অভিযুক্ত অভীক-অনুরাগী
কল্যাণী জেএনএমে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের নামে সাধারণ পড়ুয়াদের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা তোলার অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে শুরু করেছেন পড়ুয়ারা। কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ জমা পড়ার পর তদন্ত শুরু হয়েছে।
সংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের (ফেস্ট) নামেই কল্যাণী জেএনএমে সাধারণ পড়ুয়াদের থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা তুলেছিলেন চিকিৎসক নেতা অভীক দে- অনুগত হুমকি চক্রের পান্ডারা।
জেএনএম সূত্রের খবর, শুক্রবার পর্যন্ত প্রায় ১৯ লক্ষ টাকার সন্ধান মিলেছে। তার মধ্যে প্রায় ৯ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা দ্বিতীয় বর্ষের কয়েক জন ছাত্র কলেজ কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দিয়েছে বলে খবর।
সেই টাকা কল্যাণী থানার হেফাজতে রাখা হয়েছে। উদ্ধার হওয়া টাকা সাধারণ পড়ুয়াদের ফিরিয়ে দেওয়া হতে পারে বলে খবর।
নদিয়ার এই মেডিক্যাল কলেজ বেশ কয়েক বছর ধরেই থ্রেট কালচার ও তোলাবাজি চালিয়ে আসার অভিযোগ ছিল তৃণমূল নিয়ন্ত্রিত স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার কমিটি ও কিছু প্রাক্তন ছাত্রের বিরুদ্ধে।
তাদের বিরুদ্ধে মুখ খোলার সাহস ছিল না পড়ুয়া ও অধ্যাপকদের। অবশেষে হুমকি চক্রের পান্ডা শেখ মহম্মদ অখিল, আলিম বিশ্বাস, বিচিত্রকান্তি বালাদের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে শুরু করেন সাধারণ পড়ুয়ারা।
কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে কয়েকশো অভিযোগ জমা পড়েছে এই নিয়ে। তার ভিত্তিতে ৪০ জনকে ছ মাসের জন্য কলেজ ও হস্টেল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তার মধ্যে আছে ওই পান্ডারাও।
এই তোলাবাজি প্রসঙ্গে এক দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী বলেন, মাঝরাতে ঘুম থেকে তুলে ওরা আমায় মেরেছিল। আমার অপরাধ, ফেস্টের জন্য ২৩০০ টাকা চাওয়া হলেও আমি এক হাজারের বেশি দিতে পারিনি। ছোটবেলায় আমার মা-বাবা মারা গিয়েছে। ঠাকুমা অনেক কষ্ট করে পড়াচ্ছেন।
এরকম বহু অভিযোগ জমা পড়েছে। অ্যান্টি রাগিং কমিটির তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়, পড়ুয়াদের কাছ থেকে আদায় করা টাকা ফিরিয়ে দিতে হবে।
হুমকি চক্রের পান্ডাদের অনুগত কিছু জুনিয়র ছাত্র এখনও হস্টেলে আছে। দিন তিনের আগে তাদের মধ্যে দ্বিতীয় বর্ষের পাঁচ ছয় জন প্রায় ৯ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দেন।