
এবছর মাধ্যমিক পরীক্ষা যাতে সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন করা যায় তার জন্য নানা প্রস্তুতি নিয়েছে শিক্ষাদফতর। পরীক্ষা কেন্দ্রে কড়াকড়ি রয়েছে। স্কুলের ক্লাসরুমে চলছে পরীক্ষা। পরীক্ষার্থীদেরও মনযোগ উত্তরপত্রের দিকে। আর স্কুলের বাইরে টুকলি সাপ্লাই দিতে প্রস্তুত একদল ছেলে । পরীক্ষা চলাকালীন সবকরম কড়াকড়ি উপেক্ষা করেই তারা ব্যস্ত হয়ে পড়ল জায়গা মতো নকল পৌঁছে দিতে। ঠিক এই ঘটনাটি সাক্ষী থাকল জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জের কেবলপাড়া হাইস্কুল। এত কড়াকড়িতেও মাধ্যমিকে টুকলি রোখা গেল না কেন প্রশ্ন তুললেন অনেক অভিভাবকেরা। যদিও নকলের কোনও ঘটনার কথা স্বীকার করা হলো না এমনকি স্কুলের ভিতর পরীক্ষায় কোনও প্রভাব পড়েনি বলেও দাবি করেছেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক।
স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই স্কুলে মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হয় নির্ধারিত সময়েই । স্কুলের বাইরে ও ভিতরে ছিল আঁটোসাঁটো নিরাপত্তা। স্থানীয়দের অভিযোগ, এতকিছুর পরেও স্কুলের বাইরে সুযোগ মতো দেখা গেল একদল উৎসাহী যুবককে। দেখা যায় তাঁদের হাতে লেখা কাগজ, বইপত্রের পৃষ্ঠা। নকলের কাগজপত্র আশপাশেও ছড়িয়ে রয়েছে্। নকল জায়গা মতো পৌঁছে দিতে অনেকেই আবার সাহসী উদ্যোগ নিতেও দেখা গেল।
যদিও স্কুলের প্রধান শিক্ষক অভিজিৎ গুহ জানিয়েছেন, কোনও নকলের ঘটনা ঘটেনি স্কুলের ভিতর । কোনও নকল ভিতরে আসতে পারেনি বাইরে থেকে ।জানা গিয়েছে, রাজগঞ্জের কেবলপাড়া হাইস্কুলের একটা অংশে পাঁচিল নেই। স্কুলের পাশে রয়েছে ঝোপজঙ্গল। আর এই অংশটাই কাজে লাগাতে চাইলেন নকল দিতে আসা কিছু উৎসাহী যুবকের দল।এদিন মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরুর পর থেকে সেখানে ভিড় লক্ষ্য করা গিয়েছিল। কারা ছিল তারা , কেনই বা সব কিছু উপেক্ষা করে তারা নকল দিতে পৌঁছে গেল সেখানে । সকলে দেখলেও কেন ওই অংশে নজরদারি হল না , প্রশ্নটা কিন্তু থেকেই যাচ্ছে। কাউকে ঘটনায় ধরাও হয়নি। স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবি, কোনও নকলের ঘটনাও ধরা পড়েনি । তাছাড়াও অভিভাবকদের থেকে এই বিষয়ে কোনও অভিযোগও আসেনি।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।