
গভীর রাতে বালুরঘাটের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে আত্রেয়ী ড্যামের কাছে বাঁধ ভেঙে প্রবল জলস্ফীতি হয়। মুহূর্তের মধ্যে নদীর জল ঢুকে পড়ে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায়। আচমকা এই বিপর্যয়ে রাতভর আতঙ্কে কাটে স্থানীয়দের।
ঘটনার খবর পেয়েই দ্রুত এলাকায় পৌঁছন বালুরঘাট পৌরসভার চেয়ারম্যান অশোক মিত্র, কাউন্সিলর অনুশ্রী মোহন্ত ও সেচ দপ্তরের আধিকারিকরা। রাতেই ড্যামের সমস্ত গেট খুলে জল নামানোর চেষ্টা করা হয়। সকালে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে এলাকায় যান জেলাশাসক বিজিন কৃষ্ণা ও জেলা পুলিশ সুপার চিন্ময় মিত্তাল। জেলাশাসক জানান, “জেলা প্রশাসন দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ায় বড় বিপর্যয় এড়ানো গেছে। তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” পাশাপাশি তিনি জানান, “এই ঘটনায় রাজ্য স্তরের প্রতিনিধি দল এসে তদন্ত করবে।” বিষয়টি মোটেও হালকাভাবে নেননি বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার।
এদিকে, বাঁধ তৈরির মাত্র দু’বছরের মধ্যেই এমন বিপর্যয়ে প্রশাসনিক গাফিলতির অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয়রা। বাসিন্দা সোমা চক্রবর্তী বলেন, “রাতভর পাহারা দিয়েছি, এক মুহূর্তও ঘুমোতে পারিনি। এখনো আতঙ্কে আছি।” পৌরসভার চেয়ারম্যান অশোক মিত্র জানান, “রাতেই আমরা এলাকা পরিদর্শন করেছি। বাসিন্দাদের পাশে রয়েছি।” প্রশাসনিক তৎপরতায় পরিস্থিতি আপাতত নিয়ন্ত্রণে থাকলেও ক্ষোভ আর আতঙ্ক এখনও কাটেনি স্থানীয়দের। এদিকে বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং স্থানীয় সাংসদ সুকান্ত মজুমদার এই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে বলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির অভ্যাসই হচ্ছে মহম্মদ বিন তুঘলকের মত,উঠল বাই কটক যাই । উনার মনে হয়েছিল ওখানে একটা বাঁধ বানাতে হবে। ওখানে বাঁধ বানাতে গেলে বিশেষজ্ঞদের মতামত দরকার পরীক্ষা-নিরীক্ষা দরকার, কোনটাই উনি করেননি। তারপরে তো কাটমানি আছে কাটমানি খেয়েছে দিদির লোকেরা তার ফলে বাঁধ ভেঙে গেছে। কলকাতায় একের পর এক বাড়ি ভাঙছে বাড়ি,হেলে যাচ্ছে সেভাবে বাঁধ ও হেলে গেল। সরকার টাই তো হেলে গেছে । সরকারটা উড়ে চলে যাবে দুদিন পর।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।