
Fisherman Death News: বঙ্গোপসাগরে কেঁদো দ্বীপের কাছে রানী নামে একটি মৎস্যজীবী ট্রলার থেকে গত পরশুদিন বিকালে পড়ে গিয়েছিল শহীদুল মোল্লা নামে রায়দিঘির এক মৎস্যজীবী। শহিদুল মোল্লাকে তোলার জন্য সব রকম চেষ্টা ব্যর্থ হয়। নেভিও হোবার ক্যাপ্টের আধিকারিকরা বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছেন শহিদুলের দেহ উদ্ধারের জন্য।গত ১৩ তারিখে ১৫ জন মৎস্যজীবীকে নিয়ে রাণী নামে এই ডলারটি রায়দিঘি থেকে রওনা দিয়েছিল।
অভিশপ্ত সেই ট্রলারটি শুক্রবার রাতে রায়দিঘিতে ফিরলেও ফেরেনি শহিদুলের দেহ। উপকূল রক্ষীবাহিনীর হোবার ক্যাপ্ট দ্বারা চলছে শহিদুলের দেহ খোঁজার কাজ। শুক্রবার রাতে রাণী নামে ট্রলারটি ফেরার পর, কান্নায় ভেঙে পড়ে শহিদুলের পরিবার। শোকের ছায়া প্রতিবেশীদের মধ্যে।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার নামখানা ব্লকের নান্দাভাঙ্গা, এবং ঈশ্বরী পুকুর এলাকায় বিশাল নদী বাঁধে ধস।আতঙ্কে এলাকাবাসী। প্রায় ১০০ মিটার নদী বাঁধে ধ্বস নেওয়া ঘুম উড়েছে দক্ষিণ ইশ্বরীপুর এলাকার মানুষজনের। অন্যদিকে নামতাভাঙ্গা এলাকার মানুষের আশঙ্কায় সত্যি হয়েছে বারবার অভিযোগ করছিলেন হাতানিয়া দোয়ানিয়া নদী থেকে প্রতিদিন শতাধিক বাংলাদেশী জাহাজ যাতায়াত করায় তার প্রভাবে নদীবাদ ভাঙছে প্রতিবারে, সেখানেও প্রায় 200 মিটার নদী বাঁধে ফাটল। দুটি এলাকার মানুষ আতঙ্কে দিন গুনছে।
চলছে ভাদ্র মাসে কৌশিকি অমাবস্যা তার কারণেই সমুদ্রে উত্তাল প্রচন্ড ঢেউ। এই মুহূর্তে যদি সংস্কার না করা হয় আজ রাত্রি থেকে দুটি এলাকায় জল ঢুকবে বলে দাবি এলাকার মানুষের। আবারো কংক্রিটের নদী বাঁধ করে দেওয়া হোক জোরালো দাবি তুলেছে এলাকার মানুষ। জয়নগর মজিলপুর পৌরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের মিত্র পরিবারের একটি বাড়ি দীর্ঘদিন যাবত কেউ না থাকার জন্য ভগ্নদশা হয়ে পড়েছে।
প্রায় সময় ওই বাড়ি থেকে চাঙর ভেঙে রাস্তার উপরে পড়ে।যে রাস্তা দিয়ে ওই মিত্র বাড়ির পাশ দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে একাধিক পরিবারের মানুষজন যাতায়াত করেন।বিগত তিন চার বছর ধরে এলাকার মানুষ ওই বাড়ির বর্তমান মালিক,স্থানীয় পৌরসভা,ব্লক প্রশাসন এমনকি এসডিও অফিসে একাধিকবার জানিয়ে বহু চেষ্টা করেও সুরাহা করতে পারেনি, শেষে হাল ছেড়ে দিয়েছিলেন তারা। আর তারপরেই প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যেই বৃহস্পতিবার রাতেই হুরমুরিয়ে ভেঙে পড়ে ওই বাড়িটি।ঘটনা জেরে বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে পড়ে পুরো এলাকা বিদ্যুৎহীন হয়ে যায়।
দুর্ঘটনায় কোন মানুষের ক্ষতি না হলেও স্থানীয়রা জানায় ঘটনার পর থেকে খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না একটি সারমেয়।পরিতক্ত ওই বাড়ি ভেঙে পড়ার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছান ১০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর তথা জয়নগর মজিলপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান সুকুমার হালদার,জয়নগর থানার আইসি পার্থ সারথি পাল সহ পুলিশের একটি বিশেষ দল।এসে পৌঁছায় দমকল ও ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট এর দলও।
নিজের ওয়ার্ডে এ ধরনের দুর্ঘটনা ঘটায় পৌর নাগরিকদের চাপের মুখে পড়েছেন ১০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর তথা জয়নগর মজিলপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান সুকুমার হালদার।তিনি জানিয়েছেন,প্রায় ৩০০ বছরের প্রাচীন এই পরিতক্ত বাড়িটির মালিককে একাধিকবার পৌরসভা থেকে নোটিশ দেওয়া হয়েছে।কিন্তু ওদের মালিকানায় পারিবারিক সমস্যা থাকায় বিষয়টি গুরুত্ব না দেওয়ায় আজ এই দুর্ঘটনা ঘটলো।তবে পৌরসভার পক্ষ থেকে যত দ্রুত সম্ভব বাড়িটি ভেঙে ফেলা হবে বলেও তিনি জানিয়েছেন।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।