
কাটোয়া: পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়া থানার রাজৌর গ্রামে ভয়াবহ বোমা বিস্ফোরণে মৃত্যু হল এক দুষ্কৃতীর। আহত আরও তিনজন। রাতের অন্ধকারে গ্রামের একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে বোমা বাঁধার সময় ঘটে বিস্ফোরণ। বিস্ফোরণের তীব্রতায় কেঁপে ওঠে গোটা এলাকা, ক্ষতিগ্রস্ত হয় একাধিক বাড়ি।
বিস্ফোরণে মৃত দুষ্কৃতীর নাম বরকত শেখ (২৮)। তার বাড়ি বীরভূম জেলার নানুর থানার সিয়ালা গ্রামে। আহত তিনজন—তুফান চৌধুরী, ইব্রাহিম শেখ এবং সফিক মণ্ডল—রাজৌর গ্রামের বাসিন্দা। আহতদের মধ্যে তুফান চৌধুরীকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। তাকে গ্রেফতার কথাও ঘোষণা করেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, তুফান একজন কুখ্যাত দাগি দুষ্কৃতী, সম্প্রতি জেল থেকে ছাড়া পেয়েছে।
পুলিশের দাবি, তুফানই বাইরে থেকে দুষ্কৃতীদের এনে স্থানীয় মৃত ব্যক্তি লম্বু শেখের পরিত্যক্ত বাড়িতে বোমা বাঁধছিল। এই সময়েই ঘটে ভয়ানক বিস্ফোরণ। ঘটনার জেরে রীতিমতো শোরগোল পড়েছে রাজনৈতিক মহলে। কাটোয়ার বিধায়ক তথা পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূল সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় দাবি করেছেন, “আমাকে বা আমার দলের কর্মীদের খুন করার উদ্দেশ্যেই এই বোমা তৈরি হচ্ছিল”। তিনি সরাসরি আঙুল তুলেছেন প্রাক্তন তৃণমূল নেতা জঙ্গল শেখের দিকে।
উল্লেখ্য, এক সময় তৃণমূল কংগ্রেসেরই নেতা ছিলেন জঙ্গল শেখ। ২০১৫ সালে কাটোয়া পৌরসভার কাউন্সিলর ও উপ-পৌরপ্রধান নির্বাচিত হন তিনি। তবে পরবর্তীতে একাধিক মামলায় জড়িয়ে পড়ে গ্রেপ্তার হন এবং দীর্ঘদিন জেলে ছিলেন। সম্প্রতি তিনি মুক্তি পেয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। জেলা সভাপতির এই বিস্ফোরক মন্তব্যের পর ফের আলোচনার কেন্দ্রে উঠে এসেছেন জঙ্গল শেখ।
পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। বিস্ফোরণের জন্য কী ধরনের বিস্ফোরক ব্যবহৃত হয়েছিল, তা কোথা থেকে এল, কারা কারা জড়িত ছিল—সেসব জানার চেষ্টা চলছে। কাটোয়া মহকুমার এসডিপিও কাশিনাথ মিস্ত্রি একজনের মৃত্যু এবং তিনজনের আহত হওয়ার খবর নিশ্চিত করেছেন।
রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে এই বোমা বাঁধার কাজ হচ্ছিল কি না, তাতে জঙ্গল শেখের ভূমিকা ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। রাজৌরের বাসিন্দারাও তাকিয়ে পুলিশের রিপোর্টের দিকে।
অন্যদিকে, নদীয়ার শান্তিপুর হরিপুর অঞ্চলের ফুল তুলতে গিয়ে মহিলাকে হেনস্থা এবং কান ধরে উঠবস করানোর ঘটনায় আত্মঘাতী হয় মহিলা। এই ঘটনায় প্রতিবেশী পরিবারের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ করে আত্মঘাতী হওয়া মহিলার মেয়ে ও পরিবার। সেই ঘটনার তদন্তে নেমে শান্তিপুর থানার পুলিশ একজনকে গ্রেফতার করেছে। ধৃতের নাম অসীম করাতি। অপর অভিযুক্ত সিভিক ভলেন্টিয়ারকে ক্লোজ করা হয়েছে শান্তিপুর থানায়। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।