
Suvendu Adhikari: বছর ঘুরলেও এখনও মেলেনি ন্যায় বিচার। শুধুমাত্র সিভিক ভলেন্টিয়ার সঞ্জয় রায়ের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে শিয়ালদহ কোর্ট। কিন্তু জামিন পেয়ে এখনও বহাল তবিয়তে ঘুরছেন আরজি কর কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। গত বছর ৯ অগাস্ট আরজিকরে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছিল। এরপর গোটা দেশজুড়ে শুরু হয়েছিল আন্দোলন। তদন্তে নেমেছিল সিবিআই। গ্রেফতার করা হয়েছিল সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে। আরজিকের সীমাহীন দুর্নীতর অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল তৎকালীন অধ্য়ক্ষ সন্দীপ ঘোষকে। যদিও সেই সিভিক ভলেন্টিয়ার ছাড়া না পেলেও জেলমুক্তির পর বহাল তবিয়তে রয়েছেন প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ।
এবার আরজি কর কাণ্ডে ন্যায় বিচারের দাবিতে আরও বড় আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। আগামী মাসের ৯ অগাস্ট তিলোত্তমার বাবা-মা কে নিয়ে নাবান্ন অভিযানের ডাক দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুধু তাই নয়, এই অভিযানে সব দলের মানুষকে পাশে থাকার ডাক দিয়েছেন তিনি। সূত্রের খবর, উত্তর ২৪ পরগনার সোদপুরের পানিহাটির অমরাবতীতে উলটো রথ যাত্রার পর তিলোত্তমার বাড়িতে এসে ১ ঘন্টার উপর কথা বললেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আগামী ৯ অগাস্ট তিলোত্তমার মৃত্যুর এক বছর হতে চলেছে। এখনও আরজিকর কাণ্ডের সঠিক বিচার মেলেনি। তাই সব দলের সমর্থকদের দলমত নির্বিশেষে এই নবান্ন অভিযানে হাজিরা থাকার আবেদন জানান শুভেন্দু অধিকারী।
জানা গিয়েছে, বিরোধী দলনেতার ডাকে সাড়া দিয়ে তিলোত্তমার বাবা-মা এই নবান্ন অভিযানে থাকবেন বলে জানিয়েছেন। এই বিষয়ে তিলোত্তমার বাবা-মা বলেন, ''আমার মেয়ের বিচার পায়নি এখনও। মুখ্যমন্ত্রী চাইছেন না আমারা বিচার পাই! তাহলে দোষীদের আড়াল করা যাবে। ৯ অগাস্ট নবান্ন অভিযানে সব দলের মানুষকে আমরা আহ্বান জানাচ্ছি।'' তিলোত্তমার বিচার এখনও মেলেনি!! তাই আবার রাত পাহাড়ার ডাক তিলোত্তমার মায়ের। CBI এখনও চুপ! শুভেন্দু অধিকারীকে ক্ষোভ উগড়ে দিলেন তিলোত্তমার মা।
তবে তিলোত্তমা মা ফের আবার ৯ অগাস্ট এবং ১৪ অগাস্ট রাত পাহাড়ার ডাক দিলেন। আর এই রাত পাহাড়ার প্রতিবাদে রাজ্য এবং সাড়া দেশের মানুষকে থাকতে আবেদন জানালেন। তিলোত্তমা মা বলেন, ''CBI ভুমিকায় আমরা খুশি নই, একথা শুভেন্দু অধিকারীকে জানালাম। শুভেন্দু বাবু আশ্বাস দিলেন।''
প্রসঙ্গত, গত বছর ৯ অগাস্ট আরজি কর হাসপাতালে রাতের অন্ধকারে ইমার্জেন্সি বিল্ডিংয়ে ধর্ষণ করে খুন করা হয় পোস্ট গ্রাজুয়েট চিকিৎসক-ছাত্রীকে। সেদিনের ওই ঘটনার পর গ্রেফতার হন কলকাতা পুলিশের সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়। কার্যত, উত্তাল হয়ে ওঠে গোটা দেশ এবং রাজ্য। বিক্ষোভের আঁচ ছড়িয়ে পড়ে বিদেশেও। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে এরপর এই ঘটনার তদন্তভার হাতে নেয় সিবিআই। কলকাতা পুলিশের হাতে ধৃত সিভিককেও হেফাজতে নেয় তারা। তারপর শিয়ালদহ আদালতে চার্জশিট জমা দেয় সিবিআই। সেখানেও একমাত্র অভিযুক্ত হিসেবে সঞ্জয় রায়ের নামই উঠে আসে। আপাতত তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে নিম্ন আদালত।
নির্যাতিতার পরিবার সিবিআইয়ের তদন্তে অসন্তোষ প্রকাশ করে তারপর কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়। সেইজন্যই শিয়ালদহ আদালত আরজি করে ধর্ষণ-খুনের মামলার রায় দেওয়ার আগে এই বিষয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন নির্যাতিতার বাবা এবং মা দুজনেই। এমনকি, সিবিআই তদন্ত নিয়ে রীতিমতো প্রশ্ন তুলে উচ্চ আদালতে বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের বেঞ্চে আবেদন করেন তারা।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।