মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিষেধ সত্ত্বেও বাংলার বাড়িতে কাটমানি! রসিদ কেটে নেওয়া হচ্ছে ৫০০-১০০০ টাকা

দুই মহিলাই মুখ্যমন্ত্রীর দেওয়া বাংলার বাড়ি প্রকল্পে বাড়ির প্রথম কিস্তির ৬০,০০০টাকা পেয়েছেন ।এরপর পঞ্চায়েত থেকে তাদের কাছে একেবারে রশিদ কেটে দুজনের কাছ থেকেই হাজার টাকা করে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

আবাস যোজনার টাকা যাতে নয়ছয় না হয় তার জন্য প্রথম থেকেই সতর্ক করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু হল তার অন্যথা। অসহায় দুই মহিলার থেকে রসিদ কেটে টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠল হুগলির এক পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে। অসহায় দুই বিধবা মহিলা দুজনের বাড়ি মেমারি থানার অন্তর্গত দুর্গাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের আলিপুর গ্রামে । একজনের নাম সরস্বতী তুরী। স্বামী সন্তানহীন এই অসহায় মহিলা লোকের বাড়িতে কাজ করে মাটির ভাঙ্গা বাড়িতে কোনরকমে দিন যাপন করেন। অপর বিধবা মহিলার নাম সবিতা দাস, বিবাহযোগ্য কন্যা ও এক পুত্রকে নিয়ে কোনো রকমে দিন কাটে তাদের। নুন আনতে পান্তা ফুরানো জোড়া তালি দিয়ে সংসারে মাথা গোজার ঠাই বলতে একটা ভাঙা কুঠীর। সম্প্রতি তাঁরা পেয়েছিলেন আবাস যোজনার প্রথম কিস্তির ৬০ হাজার টাকা।

দুই মহিলাই মুখ্যমন্ত্রীর দেওয়া বাংলার বাড়ি প্রকল্পে বাড়ির প্রথম কিস্তির ৬০,০০০টাকা পেয়েছেন ।

Latest Videos

এরপর পঞ্চায়েত থেকে তাদের কাছে একেবারে রশিদ কেটে দুজনের কাছ থেকেই হাজার টাকা করে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এই অভিযোগ শুধু দুর্গাপুর পঞ্চায়েতের ক্ষেত্রে নয়, মেমারি১নং ব্লকের অনেক পঞ্চায়েতেই ডেভেলপমেন্ট ফি বাবদ কোথাও ৫০০ টাকা কোথাও ১০০০ টাকা করে নেওয়া হচ্ছে।

যদিও ‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্পে পঞ্চায়েতকে ‘নাক গলাতে’ নিষেধ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তারপরেও তার কথাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে নেয়া হয়েছে টাকা। এ ব্যাপারে দুর্গাপুর পঞ্চায়েতের উপপ্রধান নিতাই ঘোষকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি প্রথমে অস্বীকার করেন। তিনি জানান কোন ঘর প্রাপকদের কাছ থেকে কোনরকম টাকা নেওয়া হয়নি। এরপর সাংবাদিকরা চেপে ধরলে, তিনি প্রথমে জানান বাড়ি পারমিশনের জন্য টাকা নেওয়া হয়েছে আবার তিনি জানান বাস্তু জমির শ্রেণী পরিবর্তন করার জন্য টাকা নেওয়া হয়েছে। এরপর সাংবাদিকরা যখন প্রশ্ন করেন, বাস্তু জমি রেকর্ড করার ক্ষেত্রে বিষয়টা বিএলআরও দেখেন । সে ক্ষেত্রে পঞ্চায়েত কি টাকা নিতে পারে ? উত্তরে উপধান নিতাইবাবু জানান, টাকা নেওয়া যায় । এক কথায় তিনি জানান পঞ্চায়েত ডোনেশনের ওপরে চলে, অর্থাৎ পঞ্চায়েতের আনুষঙ্গিক খরচাপাতির জন্য ডোনেশন নেওয়া হয়। অর্থাৎ এই টাকা নেয়া হয়েছে পঞ্চায়েতের নিজস্ব ফান্ডের জন্য । তবে তিনি ক্যামেরার সামনে জানান বাংলার বাড়ির পরাপকদের কাছ থেকে কোনরকম টাকা নেওয়া হয়নি।

পঞ্চায়েত উপপ্রধান অস্বীকার করলেও আমাদের ক্যামেরায় ধরা পড়লো অন্য ছবি, এই দুই অসহায় মহিলা যাদের একবেলা আহার জুটলে অন্য বেলায় কি খাবে চিন্তা করতে হয়! তাদের কাছ থেকে পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে যে কারণেই হোক এই হাজার টাকা করে নেওয়া হয়েছে। তবে সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই মেমারি এক নম্বর ব্লকের বিভিন্ন পঞ্চায়েত যারা রশিদ কেটে ঘর প্রাপকদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছে সমস্ত বিষয়টি প্রশাসন খতিয়ে দেখছেন।।

 

Share this article
click me!

Latest Videos

মালিকের অজান্তেই হয়ে গেল জমি বিক্রি! জমি জালিয়াতির শিকার Rajarhat-এর বাসিন্দা | Kolkata News Today
Suvendu vs Mamata : স্যালাইন কাণ্ডে ডাক্তারদের দায়ী করলেন মমতা, 'মমতাই আসল দোষী' পাল্টা শুভেন্দুর
Mamata Banerjee Live: স্যালাইন কাণ্ডে ডাক্তারদের কাঠগড়ায় তুললেন মমতা, দেখুন সরাসরি
‘Mamata Banerjee-র ক্ষমতা থাকলে নিজের বাড়ির লোকদের জেলা হাসপাতালে পাঠান’ বিস্ফোরক Sukanta M
স্যালাইন কাণ্ডে মুখ্যমন্ত্রী Mamata Banerjee-কে পাল্টা দিলেন Sukanta Majumdar! দেখুন সরাসরি