মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে সন্তানের জন্ম দেওয়ার পরই অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন পাঁচ জন প্রসূতি। অভিযোগ স্যালাইন দেওয়ার পরই তাঁরা অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।
স্যালাইন-কাণ্ডে এবার চিকিৎসকদের কাঠগড়ায় তুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার নবান্নে সাংবাধিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি জানিয়েছেন, সঠিকভাবে চিকিৎসকদার দায়িত্ব পালন করলে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের ওই মা ও সদ্যোজাতকে বাঁচান যেত। এই ঘটনায় ১২ জন চিকিৎসককে সাসপেন্ড করার নির্দেশ দিলেন মমতা। তাঁদের মধ্যে রয়েছে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের আরএমএ ও এমএসভিপি।
মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে সন্তানের জন্ম দেওয়ার পরই অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন পাঁচ জন প্রসূতি। অভিযোগ স্যালাইন দেওয়ার পরই তাঁরা অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। পরে হাসপাতালেই এক প্রসূতির মৃত্যু পর্যন্ত হয়েছিল। মেডিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে অসুস্থ হয়ে পড়া প্রসূতিদের একজনের সন্তানেরও মৃত্যু হয়য গোটা ঘটনা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চিকিৎসকদের দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলেছেন। পাশাপাশি সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসা পরিষেবার একটি পরিসংখ্যানও তুলে ধরেন। জানিয়েছেন, চিকিৎসা ব্যবস্থার উন্নতির পরেও বাঁচান যায়নি এক প্রসূতি ও এক শিশুকে। তাঁর কথায়, 'যাদের কাছে মানুষের ভাগ্য নির্ধারিত হয়, যাঁদের হাতে সন্তান জন্মায় তাঁরা দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করলে মাকে ও সন্তানকে বাঁচান যেত।'
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও জানিয়েছেন, ওটির ভিতর সিসি ক্যামেরা থাকলে অভিযুক্তদের হাতেনাতে ধরা যেত। অপারেশন থিয়েটারের ভিতরেও সিসি ক্যামেরা থাকা উচিৎ বলেও মনে করেন তিনি। একই সুর শোনা গিয়েছে মুখ্যসচিব মনোজ পন্থের গলায়। তিনি বলেন, 'সিসি ক্যামেরা করিডরে থেকে। তাই চিকিৎসকদের গতিবিধি জানতে পারছি না।' তবে মুখ্যমন্ত্রীর মতোই তিনিও বলেছিলেন, 'অস্ত্রোপচারের সময় যে প্রোটোকল মেনে চলা দরকার। তা মানা হয়নি।' সিনিয়র চিকিৎসকরা উপস্থিত না থাকায় জুনিয়র ডাক্তাররাও অপারেশন করেছিলেন বলেও তিনি অভিযোগ করেছিলেন।