রাজ্যজুড়ে অশান্তি, মারধার, ব্যালট বাক্স ছিনতাই, খুন, ছাপ্পার পরিস্থিতিতে একাধিক কেন্দ্রে নতুন করে নির্বাচন ঘোষণা করেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। এই প্রসঙ্গে সোমবার মুখ খুললে দিলীপ ঘোষ।
সোমবার রাজ্যে পুননির্বাচন। রাজ্যজুড়ে অশান্তি, মারধার, ব্যালট বাক্স ছিনতাই, খুন, ছাপ্পার পরিস্থিতিতে একাধিক কেন্দ্রে নতুন করে নির্বাচন ঘোষণা করেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। এই প্রসঙ্গে সোমবার মুখ খুললে দিলীপ ঘোষ। রাজ্যপালের দিল্লি যাত্রা থেকে পঞ্চায়েত ভোটের ফলাফল, কথা বললেন সবকিছু নিয়েই। এদিন রাজ্যপালের দিল্লি যাত্রা প্রসঙ্গে দিলীপ বলেন,'রাজনৈতিক দূষণ হয়েছে সেদিন। তার থেকে সবাই মুক্তি চাইছে। রাজ্যের মানুষও চাইছে। রাজ্যপালও চাইছে। রাজ্যপাল তো দিল্লি চলে গেলেন। রাজ্যের মানুষ কোথায় যাবে?' পাশাপাশি রাজ্যপাল বোসের দিল্লি যাত্রার সঙ্গে নির্বাচনের ফলালের কোনও সম্পর্ক আছে কি না সেবিষয়ও মুখ খুললেন দিলীপ। তাঁর কথায়,'ভয় পাচ্ছে তৃণমূল। ওদের হাতের বাইরে চলে গেছে। রাজ্যের মানুষ ত্রাহি ত্রাহি করে মুক্তি চাইছে। গোটা দেশ গোটা বিশ্ব সেদিন দেখেছে, কি হয়েছে। এরপর এই সরকারের থাকার কোনো এক্তিয়ার নেই। প্রয়োজনও নেই। কিন্তু যেহেতু গণতান্ত্রিক ভাবে এসেছে, যাওয়াও সেভাবেই উচিৎ। কিন্তু ততদিন এরা থাকলে বাংলার সর্বনাশ হয়ে যাবে। '
সোমবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে একাধিক প্রসঙ্গে কথা বলেছেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ। জেলা পরিষদ নিয়ে কতটা আশাবাদী বিজেপি? প্রশ্নের উত্তরে দিলীপ বলেন,'হ্যা। আশাবাদী। আমাদের কোর এলাকায় আমরা ভোট করিয়েছি। যেখানে গোলমাল ছিল, সেখানে আমরা আগে থেকেই প্রার্থী দিতেই পারিনি। এমনও হয়েছে, প্রার্থী হতে কেউ রাজি হয়েছে, কিন্তু নামের প্রস্তাবক পাইনি। ভয়ের পরিবেশ ছিলই। আরও এরকম ২০ শতাংশ মতো জায়গা আছে, যেখানে আমরা প্রার্থী দিয়েছিলাম। কিন্তু ভোট করানো যায়নি। ভোটার বেরোয় নি। এজেন্ট বসতে পারেনি। দখল হয়ে গেছিল। হ্যা। জেলা পরিষদ পাবো। অবশ্যই পাবো। উত্তর দক্ষিণ মিলিয়ে পাবো। কটা বলা মুশকিল। তবে পাবো অবশ্যই।
এখানেই শেষ নয় নির্বাচনে চলাকালী অশান্তির ঘটনায় বিজেপির ভূমিকা কতখানি জিজ্ঞেস করায় দিলীপ ঘোষের সাফ উত্তর, বিজেপি কেবল প্রতিরোধ করেছে। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কোথাও যদি করে থাকে, ঠিকই আছে। প্রতিরোধ করেছে। যেখানে শক্তি দেখাতে এসেছিল, আমরা আটকেছি। মানুষ তাড়া করেছে। কিন্তু পুলিস এসে আমাদের বাধা দিয়েছে। মজার ব্যাপার, সাধারণ মানুষ মার খায়। আর তারা যখন প্রতিবাদ করে, তখন পুলিস তাদের ওপরেই লাঠি চালায় আর গ্রেফতার করে। গুণ্ডারা লুঠপাট করে খুন খারাপি করে চলে যায়, তাদের কেউ আটকায় না।