আইএসএফ বিধায়কের আবেদন মত তাকে কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা দেওয়ার নির্দেশ দেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। কেন্দ্রের তরফে দেওয়া হয় দুজন স্বাশস্ত্র রক্ষী।
কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে ইতিমধ্যেই অতিরিক্ত নিরাপত্তা পেয়েছেন ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি। তবে কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা নিয়ে সন্তুষ্ট নন নওসাদ। আইএসএফ বিধায়কের আবেদন মত তাকে কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা দেওয়ার নির্দেশ দেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। কেন্দ্রের তরফে দেওয়া হয় দুজন স্বাশস্ত্র রক্ষী। কিন্তু এবার কেন্দ্রের নিরাপত্তায় অসন্তোষ প্রকাশ করে ফের আদালতের দ্বারস্থ হলেন নওশাদ সিদ্দিকি। এদিন তিনি আদালতকে জানিয়েছেন,তৃণমূল বিধায়ক শওকাত মোল্লা জেড ক্যাটাগরি নিরাপত্তা পান। বিজেপির কলকাতা কাউন্সিলর সজল ঘোষও তাঁর তুলনায় বেশি নিরাপত্তা পান। নির্বাচনের আবহে যখন উদ্বেগজনক পরিস্থিতি ভাঙরে তখন নওশাদের মত একজন রাজ্য স্তরের নেতার আরও নিরাপত্তা প্রয়োজন বলেই জানিয়েছেন।
রবিবার বিকেলে ফুরফুরা শরিফে তাঁর পৈত্রিক বাড়িয়ে পৌঁছে গিয়েছে সাত জন সিআইএসএফ জওয়ান। যাঁরা তাঁর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন। কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা পেয়ে রীতিমত স্বস্তিতে আসএসএফ-র একমাত্র বিধায়ক নৌশাদ। তবে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন তিনি। নৌশাদ নিজেই জানিয়েছেন তিনি কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা পেয়েছেন। কিন্তু কোন ক্যাটাগরির নিরাপত্তা তিনি পেয়েছেন তা তিনি নিজেই জানেন না বলেও জানিয়েছেন ভাঙড়ের বিধায়ক। তবে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। বলেন, প্রথমে তিনি রাজ্য সরকারের কাছে নিরাপত্তা চেয়েছিলেন। কিন্তু রাজ্য সরকার তাঁর নিরাপত্তার জন্য বিন্দুমাত্র ব্যবস্থা করেনি। তিনি আরও বলেন বিধায়ক হিসেবে তাঁর যেটুকু নিরাপত্তা পাওয়া প্রয়োজন তারও ব্যবস্থা করেনি রাজ্য সরকার। এই অবস্থায় প্রাণনাশের আশঙ্কায় নৌশাদ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি লেখেন। কিন্তু সেখান থেকে কোনও উত্তর পাননি। পাশাপাশি নিরাপত্তার দাবি জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টেরও দ্বারস্থ হন। আদালত তাঁর বক্তব্য শুনে তাঁকে নিরাপত্তা দেওয়ার কথা বলেন। রবিবার নওশাদ জানিয়েছেন, শুধুমাত্র নিজের জন্য নয়, তিনি জনপ্রতিনিধি হিসেবে গোটা ভাঙড়ের বাসিন্দাদের জন্য নিরাপত্তা চান। কিন্ত ভাঙড়ে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেই বলেও অভিযোগ করেন। যদিও ভাঙড় সহ গোটা রাজ্যেই নিরাপত্তা বাহিনী পাঠাচ্ছে কেন্দ্রী। শনিবারই ভাঙড়ে এক কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী এসেছে , তারা ইতিমধ্যেই রুটমার্চ শুরু করেছে। মনোনয়ন পর্ব থেকেই উত্তাল ছিল ভাঙড়। এলাকার নিরাপত্তা নিয়েও সরব ছিলেন তিনি। শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য আইএসএফ প্রার্থীদের মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেবেন যদি মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এমনটাও বলেছিলেন তিনি। কিন্তু তাতেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি।