এমনটাই জানা যাচ্ছে হাসপাতাল সূত্রে। জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকও বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পঞ্চায়েত নির্বাচনে সংঘর্ষের জেরে বাড়ানো হল হাসপাতালের বেডের সংখ্যা। শনিবার দিনভর দক্ষিণ ২৪ পরগনা, উত্তর ২৪ পরগনা, মুর্শিদাবাদ, পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্ব মেদিনীপুর, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি বাঁকুড়া, হুগলি, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর, মালদা, পশ্চিম বর্ধমান জেলাগুলিতে অশান্ত দৃশ্যের সাক্ষী থাকল রাজ্য। মুর্শিদাবাদের জায়গায় জায়গায় দেখা গিয়েছে সংঘর্ষের ঘটনা। যার জেরে ইতিমধ্যেই মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে বাড়ানো হয়েছে শয্যার সংখ্যা। এমনটাই জানা যাচ্ছে হাসপাতাল সূত্রে। জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকও বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
শনিবার সুকান্ত মজুমদার অমিত শাহকে দেওয়া চিঠিতে জানিয়েছেন, ৮ জুলাই পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন রাজ্যের তাণ্ডব চালিয়েছে শাসক দলের দুষ্কৃতীরা এবং গোটা ঘটনায় পুলিশকে নিরব দর্শকের ভূমিকায় দেখা গিয়েছে বলেও অভিযোগ জানান তিনি। এদিন ভয়াবহ সন্ত্রাসের সাক্ষী থেকেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা, উত্তর ২৪ পরগনা, মুর্শিদাবাদ, পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্ব মেদিনীপুর, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি বাঁকুড়া, হুগলি, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর, মালদা, পশ্চিম বর্ধমান জেলাগুলি। এদিনে মৃত্যু হয়েছে প্রায় ১৫ জনের। এছাড়া রাজ্যজুড়ে বুথ দখল, ছাপ্পা ভোট এমনকী বিজেপি কর্মীদের হুমকি দেওয়ারও অভিযোগ করেন সুকান্ত মজুমদার। এমনকী বেশিরভাগ বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী না থাকার অভিযোগও করেছেন তিনি।
অন্যদিকে ছয় জেলায় অশান্তির ঘটনায় প্রাণ গিয়েছে কমপক্ষে ১২ জনের। যদিও নির্বাচন কমিশনারের গলায় শোনা গেল অন্য সুর। রাজ্যে মৃতের সংখ্যা মাত্র তিনজন বলেই জানালেন তিনি। শনিবার সংবাদ মাধ্যমের প্রশ্নের উত্তরে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিংহ জানিয়েছেন 'ভোটের দিন রাজ্যে মৃত্য্য হয়েছে তিন জনের।' পাশাপাশি রাজ্যজুড়ে হিংসার ঘটনার দায়ে ঠেললেন রাজ্য পুলিশের উপরই। তাঁর কথায়,'রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা দেখা রাজ্য পুলিশের বিষয়। নির্বাচন কমিশনের কাজ ব্যবস্থাপনা দেখা। সেই মত অভিযোগ পেয়েই জানানো হয়েছে এসপি এবং জেলাশাসককে। নিজের তাগিদে পুলিশ তদন্ত করবে।'