আগামী কয়েক দিনধরেই দলের তরফে ৫০ জন এলাকাভিত্তিক কর্মসূচি পালন করবে। তাদের মূল কাজই হলে এলাকায় গিয়ে যেসব তৃণমূল নেতা কর্মীরা টিকিট না পেয়ে নির্দল প্রতীকে দাঁড়িয়েছে তাদের বোঝানো। স্থির হয়েছে প্রস্তুতি বৈঠকে।
পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের পথের কাঁটা বিরোধীরা, টিকিট না পেয়ে নির্দল প্রার্থী হিসেবে দাঁড়ানো স্থানীয় নেতা কর্মীরা। তেমনই মনে করছে তৃণমূল কংগ্রেস। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কালীঘাটের বাড়িতে তৃণমূলের বৈঠকের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন দলের নেতা কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় ও কুণাল ঘোষ। তাঁদের কণ্ঠেই নির্দল প্রার্থীদের নিয়ে উদ্বেগ ধরা পড়ল।
সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্য়ায় বলেন আগামী কয়েক দিনধরেই দলের তরফে ৫০ জন এলাকাভিত্তিক কর্মসূচি পালন করবে। তাদের মূল কাজই হলে এলাকায় গিয়ে যেসব তৃণমূল নেতা কর্মীরা টিকিট না পেয়ে নির্দল প্রতীকে দাঁড়িয়েছে তাদের বোঝানো, তারা যাতে মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেয়। একই সঙ্গে তৃণমূলের সমস্ত কর্মীদের একজোট হয়ে লড়াই করার বার্তা দেওয়াও তাদের গুরুত্বপূর্ণ কাজ হবে। তিনি আরও বলেন সিপিএম-কংগ্রেস-বিজেপি একজোট হয়ে লড়ছে। তাদের হারাতে তৃণমূলকেও একজোট হয়ে লড়তে হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। তৃণমূল কংগ্রেস সূত্রের খবর এবার অনেক বাছাই করে স্বচ্ছ্বভাবমূর্তির ওপর ভিত্তি করেই পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রার্থী বাছাই করা হয়েছে। দলের পুরনোদের অনেকেই টিকিট পায়নি। যা নিয়ে দলের নেতা ও কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভও রয়েছে। তাতেই তৃণমূলের অনেকেই নির্দল প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। তারাই পথের কাঁটা হয়ে দাঁড়াতে পারে দলীয় প্রার্থীদের সামনে।
কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বলেন সেন্ট্রাল ফোর্স নিয়ে প্রচুর কথা হচ্ছে। কিন্তু সেন্ট্রাল ফোর্স থাকা বা না থাকা নিয়ে তৃণমূলের কিছুই যায়আসে না। কারণ রাজ্যের মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পছন্দ করেন। তাঁকে দেখেই এই রাজ্যের মানুষ ভোট দেয়। রাজ্যে তৃণমূল ভোটে কোনও আশান্ত চায় না। রাজ্যনৈতিক হিংসাকে মানুষ সমর্থন করে না বলেও জানিয়েছেন তিনি। তিনি আরও দলের পক্ষ থেকে শীর্ষ নেতৃত্ব বরাবরই শান্তিপূর্ণ ভোটের কথাই বলে এসেছে।
কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ১০০ দিনের কাজের টাকা না দেওয়ারও অভিযোগ জানান কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন এই প্রকল্পের ৬০ শতাংশ টাকা কেন্দ্রের দেওয়ার কথা। রাজ্যের দেওয়ার কথা ৪০ শতাংশ। কিন্তু কেন্দ্র সরকার টাকা বন্ধ করে দিয়েছে। আর সেই কারণে রাজ্যের মানুষ বঞ্চিত হচ্ছে।
কালীঘাটের বাড়িতে পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রস্তুতি বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়া, সুব্রত বক্সি-সহ দলের সমস্ত শীর্ষস্থানীয় নেতা-নেত্রীরা হাজির ছিলেন। রাজ্যের বিধায়ক ও সাংসদদের উপস্থিতিও ছিল চোখে পড়ার মত। বৈঠকের পরই তৃণমূল নেতারা জানিয়ে দেন অভিষেকের নবজোয়ার যাত্রা যথেষ্ট সাফল্য এতে লাভ হবে পঞ্চায়েত নির্বাচনে।
আরও পড়ুনঃ
ভাঙড়ের পর শনিবার ক্যানিং গেলেন রাজ্যপাল, প্রশাসনিক বৈঠক ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বললেন সিভি আনন্দ বোস
মনোনয়নপত্র পরীক্ষা ঘিরে ধুন্ধুমার দিনহাটা, নীশিথের কনভয়ে তীর ছোঁড়ার অভিযোগ উদয়ন গুহর বিরুদ্ধে
Weather News: খাতায় কমলে বর্ষা ঢুকলেও এখনও তাপপ্রবাহ আর আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি অব্যাহত বঙ্গে