আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের ঘটনা নিয়ে রাজ্যজুড়ে আন্দোলন যখন কিছুটা স্তিমিত হয়ে গিয়েছে, তখন রাজ্যের নানা প্রান্তে ফের মহিলাদের উপর অত্যাচারের ঘটনা দেখা যাচ্ছে।
প্রতিবেশী বৃদ্ধার সোনার গয়না চুরির অভিযোগে সালিশি সভা ডেকে গৃহবধূকে দোষী হিসেবে চিহ্নিত করে মারধরের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতদের মধ্যে এক মহিলাও আছেন। এই ঘটনায় আরও আটজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। বাকিদের খোঁজ করছে পুলিশ। এখনও দুই মূল অভিযুক্তর খোঁজ পায়নি পুলিশ। অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে। বুধবার ধৃতচ তিনজনকে কাঁথি মহকুমা আদালতে হাজির করে পুলিশ। এই ঘটনার সঙ্গে শাসক দলের নাম জড়িয়ে গিয়েছে। মূল অভিযুক্ত তৃণমূলের স্থানীয় নেতা তথা প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্য পিন্টু মহাপাত্র এবং সিভিক ভলান্টিয়ার সুদর্শন জানা। তাঁদের এখনও গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। তাঁদের খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। তবে পুলিশের বিরুদ্ধেও গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে। সালিশি সভায় আক্রান্ত হওয়ার পর ওই মহিলাকে উদ্ধার করে নিয়ে গিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু তারপরেও স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করেনি পুলিশ। এই ঘটনার দু'দিন পর গৃহবধূর পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। তারপর তদন্ত শুরু করে পুলিশ। এর মধ্যে অভিযুক্তরা পালিয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ।
হাসপাতালে ভর্তি আহত গৃহবধূ
সালিশি সভায় বিচারের পর গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে ধানের বস্তায় পুরে মারধর করা হয়। পরে পুলিশ গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে। গুরুতর জখম অবস্থায় ওই মহিলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এই ঘটনায় নীলিমা বেরা, মদন জানা ও পূর্ণচন্দ্র জানা নামে তিন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
জোড়া ঘটনার তদন্তে পুলিশ
কাঁথির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) শুভেন্দ্র কুমার জানিয়েছেন, 'এক মহিলার হার ছিনতাইয়ের ঘটনা এবং গণধোলাইয়ের ঘটনার দু’টি পৃথক অভিযোগ পেয়েছি। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে।'
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।
আরও পড়ুন-
পরকীয়ার অভিযোগে ঘাটালে মারধর গৃহবধূকে, কাটা হল চুল, গ্রেফতার ৬
গৃহবধূকে শ্রীলতাহানির অভিযোগ, প্রতিবাদীকে বেধড়ক মারধর হাসনাবাদে