
West Midnapore: হঠাৎ করেই টাকা তোলার হিড়িক ব্যাংকে। মাত্র ১০ দিনেই ২ কোটি টাকার বেশি আমানত তুলে নিল গ্রাহকরা। প্রতিদিনই পড়ছে টাকা তোলার লম্বা লাইন, মাথায় হাত সংস্থার। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দাসপুরের একটি সমবায়ের ব্যাংক থেকে টাকা তোলার হিড়িক পড়েছে গ্রাহকদের।
মাত্র ১০ দিনে ২ কোটিরও বেশি টাকা তুলে নিয়েছেন গ্রাহকরা। জানা গিয়েছে, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দাসপুরের গৌরা সমবায় সমিতিরতে গত মাসের ১৭ এবং ১৮ তারিখ এই ব্যাংকের নির্বাচনের মনোনয়নপত্র তোলার দিন নির্দিষ্ট ছিল। এবং সেই দিনগুলিতে ব্যাপক গন্ডগোল হয়। এমনকি পুরো ব্যাপারটিতে পুলিশে প্রত্যক্ষ মদত ছিল এমনটাই অভিযোগ বিরোধীদের।
এমনকি দিনের শেষে দেখাও যায় এই ব্যাংকের ৫৩ টি আসনের মধ্যে ৫৩ টি আসনেই মনোনয়নপত্র পড়েছে শুধুমাত্র শাসক দলের। এই ঘটনার পর বিরোধীরা ইতিমধ্যে হাইকোর্টের দ্বারস্থও হন। সার্বিক পরিস্থিতির জেরে এই সমবায় সমিতির গ্রাহকরা আতঙ্কিত হয়ে তাদের জমাকৃত রাশিই সিংহভাগ তুলে নিতে চাইছেন বলে মনে করা হচ্ছে।
সংস্থার ম্যানেজার সৈকত জানা অবশ্য স্বীকার করে নিয়েছেন এই সমস্যার কথা। তিনি বলেন, ‘’আমরা সর্বতভাবে চেষ্টা করছি যাতে মানুষ আতঙ্কিত হয়ে এমন পদক্ষেপ না গ্রহণ করেন। টাকার তোলার হিড়িক আটকাতে কুড়ি হাজার টাকার লিমিট ও বেঁধে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তাতেও আখেরে লাভ হচ্ছে না কিছুই।'' কর্তৃপক্ষের আশঙ্কা, যদি এমনটাই চলতে থাকে তাহলে সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে এই আর্থিক সংস্থাটিকে।
জানা গিয়েছে, প্রায় ১৭ কোটির আমানত রয়েছে এই সংস্থাটিতে ইতিমধ্যেই দু' কোটিরও বেশি টাকা তুলে নিয়েছেন গ্রাহকরা। প্রতিদিনই এই সংখ্যাটা বেড়েই চলেছে। অভিযোগ, মনোনয়নের দিন যেভাবে সন্ত্রাস চালিয়েছিল শাসক দল তারপর ভরসা রাখতে পারছেন না। এই আর্থিক সংস্থায়ী তাদের অর্থ জমা রাখার ক্ষেত্রে।
অন্যদিকে, নিবন্ধিত অস্বীকৃত রাজনীতিক দল ভারতীয় নিউ ডেমোক্র্যাটিক পার্টিকে শোকজ নোটিস দিলো মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক দফতর। আগামী ১৭ জুলাই দুপুর ২টোয় তাদেরকে শুনানি জন্য ডাকা হয়েছে। মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক দফতরে শুনানি জন্য ডাকা হল নিবন্ধিত অস্বীকৃত রাজনীতিক দলকে।
দলের প্রধান সভাপতি বা সাধারণ সম্পাদককে আসতেই হবে শুনানিতে। যদি সংশ্লিষ্ট দল কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ না করে। তাহলে সেই নিবন্ধিত অস্বীকৃত রাজনীতিক দলকে নিষ্ক্রিয় ঘোষণা করা হবে বলে সূত্রে খবর। জাতীয় নির্বাচন কমিশন আগেই বাংলার ৮ টি নিবন্ধিত অস্বীকৃত রাজনীতিক দলের তালিকা পাঠায় মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক দফতরকে। নির্দেশ অনুযায়ী পদক্ষেপ গ্রহণ করে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক দফতর। সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন দিয়ে শো কোজ করা হল নিবন্ধিত অস্বীকৃত রাজনীতিক দলকে। তার পরে তাদের পক্ষ থেকে স্পষ্ট বার্তা না এলে কেড়ে নেওয়া হবে তাদের রেজিস্ট্রেশন।
অর্থাৎ আর নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার বা রাজনীতিক দলের তকমা থাকবে না তাদের। ফলে সংশ্লিষ্ট দল কোনও নির্বাচন লড়তে পারবে না। তার জন্য তাদেরকে নতুন করে আবেদন জানাতে হবে। তবে সেটা গ্রাহ্য হবে কি না। সেটা বিবেচনা করে দেখবে নির্বাচন কমিশন। অতীতের ভূমিকাকে সামনে রেখেই বিবেচনা হবে তাদের ভবিষ্যৎ। আদৌ তাদের স্বীকৃতি দেওয়া হবে কি না, নির্ভর করবে তাদের রাজনীতিক গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করে। গত ৩০ জুন তাদেরকে শোকজ করেছে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।