
Bolpur News: বারবার নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও রাজ্যে ফের উঠল র্যাগিংয়ের অভিযোগ। তাও আবার সরকারি বিদ্যালয়ের ভিতরে ছাত্রীকে র্যাগিং করার অভিযোগে ছড়িয়েছে চাঞ্চল্য। সরকারি স্কুলের ভিতরেও যদি র্যাগিংয়ের শিকার হতে হয় পড়ুয়াদের তাহলে নিরাপত্তা কোথায়? প্রশ্ন তুলে সরব অভিভাবক মহল। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূম জেলার বোলপুর শহরের বোলপুর উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে।
সূত্রের খবর, বোলপুর উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে নবম শ্রেণীর ছাত্রীকে র্যাগিংয়ের অভিযোগ উঠেছে ওই স্কুলেরই একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রীদের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, নবম শ্রেণীর ছাত্রী যখন বিদ্যালয়ের টয়লেট ব্যবহার করার জন্য যাচ্ছিল ঠিক তখনই ওই বিদ্যালয়েরই উঁচু ক্লাসের ছাত্রীরা পেছন থেকে চোখ বেঁধে বেধড়ক মারধর করে বলে অভিযোগ। নবম শ্রেণীর ওই ছাত্রী বর্তমানে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হচ্ছে আগামী দিনে বিদ্যালয়ে পাঠাবে নাকি? তা নিয়ে চিন্তিত পরিবার। অন্যদিকে অন্যান্য অভিভাবকরাও কার্যত এই ঘটনার পর আতঙ্কিত রয়েছে। যদিও এখনও পর্যন্ত পুলিশের কাছে কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। নবম শ্রেণীর ওই ছাত্রী কার্যত আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে।
অন্যদিকে, ফুল তুলতে গিয়ে চোর চোর বলে ধাওয়া মহিলাকে, এরপর আটকে রেখে কান ধরে উঠবস করানোর অভিযোগ প্রতিবেশী পরিবারের বিরুদ্ধে। ঘটনায় সম্মানহানি হওয়ায় গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী এক গৃহবধূ । ঘটনায় চাঞ্চল্য নদীয়ার শান্তিপুরে।
ঘটনাটি ঘটেছে নদীয়ার শান্তিপুর ব্লকের হরিপুর অঞ্চলের মধ্য কলোনি এলাকায়। জানা গিয়েছে, ওই এলাকার বাসিন্দা সরস্বতী দে রোজ সকালে ফুল তুলতে বেরোন এলাকায়। শুক্রবারও প্রতিদিনের মতো ভোরবেলায় ফুল তুলতে বেরিয়ে প্রতিবেশী করাতি পরিবারের বাড়িতে ফুল তুলতে যান। অভিযোগ, তখনই ওই পরিবারের লোকজন ওই মহিলাকে চোর চোর বলে ধাওয়া দেন, মহিলা কোনওরকমে পালিয়ে পাশের বাড়িতে বাথরুমের মধ্যে আশ্রয় নেয়, তখনই এলাকার বেশ কিছু মানুষ তাকে আটকে রাখে। এরপর তাকে করাতি পরিবারের লোকেরা কান ধরে উঠবস করানো হয় বলেও অভিযোগ করেছে মৃতার পরিবার।
এই ঘটনায় মৃতা স্বরস্বতী দের পরিবার প্রতিবেশী করাতি পরিবারের বিরুদ্ধে এই ঘটনা ঘটানোর অভিযোগ তুলেছেন। যদিও এই ঘটনা স্পষ্টত অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত করাতি পরিবারের সদস্যরা। তারা জানান, ওই মহিলা ফুল চুরি করতে এসেছিল এবং তাকে ধাওয়া দেয়া হয়েছে এইটুকু ঠিক। কিন্তু কান ধরে উঠবস করানো হয়নি। মিথ্যে অভিযোগ করছে মৃতার পরিবার। যদিও শনিবার সকালে এলাকাবাসী মৃত স্বরসতী দের ঝুলন্ত দেহ দেখার পরেই শান্তিপুর থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়। তবে স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য পুলিশি গাফিলতির অভিযোগ তুলেছেন এই ঘটনায়।
সকাল থেকে পুলিশ ঘটনাস্থলে না এসে শুধুমাত্র মৃতদেহ বহনকারী গাড়ি নিয়ে মৃতদেহ নিয়ে চলে গেছে বলে অভিযোগ করেছেন । এই ঘটনায় যে পরিবারের বিরুদ্ধে অভিযোগ সেই পরিবারের এক সদস্য সিভিক ভলেন্টিয়ারের চাকরি করেন তাই হয়তো পুলিশি প্রভাব খাটিয়ে তদন্ত স্থিতিশীল করার চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ পঞ্চায়েত সদস্যের ।
তবে শুক্রবার সরস্বতী দেবীর বাড়িতে এসে অভিযুক্ত করাতি পরিবারের গৃহবধূ কাজল করাতি হুমকি এবং আঙুল কেটে নেওয়ার নিদানও দিয়েছেন বলে জানান স্থানীয় অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের দিদিমণি। মৃতর পরিবারের পক্ষ থেকে এই ঘটনায় করাতি পরিবারের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করবেন বলেও জানানো হয়। যদিও মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য রানাঘাট পুলিশ মর্গে পাঠায় শান্তিপুর থানার পুলিশ।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।