
North Bengal News: মেঘভাঙা বৃষ্টিতে শুধু কলকাতা নয়! প্রবল বর্ষার ভরা তিস্তা নদীর বাঁধের ওপর দিয়ে ড্যাম্পারের দৌরাত্ম্যে বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কায় আতঙ্কিত অসহায় মানুষ। জানা গিয়েছে, বাঁধের ওপর চলছে ডাম্পার। আতঙ্কে নদীপারের বাসিন্দারা। গাজোলডোবা বারেজ ডিভিশনের কাছে ডেপুটেশন সাধারণ মানুষের।
আন্ধাঝোরা ব্রিজ থেকে গাজোলডোবা তিস্তা ব্রিজ পর্যন্ত বিস্তৃত নদীর বাঁধ এখন পরিণত হয়েছে ভারী যন্ত্রচালিত ডাম্পার চলাচলের রাস্তায়। আর এই কারণেই আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন ওদলাবাড়ি সুভাষ পল্লী-সহ আশপাশের নদীপারের বহু সাধারণ মানুষ। ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। যেখানে সাধারণ মানুষ প্ল্যাকার্ড হাতে সরব হন। সঙ্গে ছিলেন ট্রাক মালিকেরাও।
প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল, "বাঁধ নদীর জন্য, ডাম্পারের জন্য নয়।" এরপর তারা গাজোলডোবা বারেজ ডিভিশনের এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ারের কাছে একটি লিখিত ডেপুটেশন জমা দেন। স্থানীয়দের অভিযোগ, শুধু বাঁধের উপর দিয়ে ডাম্পার চলাচলই নয়, বরং বাঁধ কেটে নদীতে যাওয়ার রাস্তা পর্যন্ত তৈরি করা হয়েছে। ফলে প্রবল বর্ষায় বা জলস্তর বাড়লে সেই দুর্বল জায়গা দিয়েই গ্রামে ঢুকে পড়তে পারে নদীর জল। এমন আশঙ্কায় রাতের ঘুম উড়ে গিয়েছে নদীর ধারে বসবাসকারী বহু পরিবারের।
সুভাষ পল্লীর এক বাসিন্দার কথায়, “প্রতিদিন বড় বড় ডাম্পার চলে বাঁধের উপর দিয়ে। বাঁধ তো নদীর রক্ষা কবচ, ওটাই যদি দুর্বল হয় তবে আমরা কোথায় যাব? আমাদের ঘর-বাড়ি তো সব ভেসে যাবে। আধিকারিকেরা আশ্বাস দিয়েছে সমস্ত বিষয় ক্ষতিয়ে দেখে ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।''
এদিকে সোমবার গভীর রাতের প্রবল বর্ষণে চুঁচুড়ার বিভিন্ন এলাকায় জল জমেছে। যার জেরে দুর্গাপুজোর একাধিক মণ্ডপের সামনে তৈরি হয়েছে জলছবি।আর দুদিন পরেই শুরু হতে চলেছে দুর্গাপুজো, তার আগেই জলবন্দী বাসিন্দারা।
চুঁচুড়ার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের পীরতলায় ‘দুর্গা মন্ডপ’-এর সামনেই জমা জলে এমন দৃশ্য চোখে পড়েছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, সরকার থেকে বরাদ্দ অর্থ এলেও স্থানীয় শাসকদলের প্রতিনিধিরা সমস্যার সমাধানে কোনও উদ্যোগ নিচ্ছেন না। ফলে প্রতিবার বর্ষার সময় একই পরিস্থিতি তৈরি হয় এবং এখন ডেঙ্গুর আশঙ্কা আরও বেড়ে যাচ্ছে।
তাদের দাবি, দীর্ঘদিনের এই ভোগান্তি থেকে মুক্তি পেতে অবিলম্বে স্থায়ী সমাধান করা হোক। বহুবার অভিযোগ জানিয়েও কোনও কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা। শারদোৎসবে দিনগুলোতে বৃষ্টির সম্ভাবনার পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। গতকাল শহর কলকাতা ও শহরতলিতে যে বৃষ্টি হয়েছে সেই রকম বৃষ্টি পুজোর দিনগুলোতে হলে পুজোয় ঠাকুর দেখা নিয়ে চিন্তা থাকবে বলেও জানিয়েছেন তারা।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।