
Narendra Modi Visit Bengal: রাত পোহালেই বঙ্গ সফরে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বৃহস্পতিবার হল ভারতের সিটি গ্যাস বিতরণ (CGD) নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণের জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ দিন। আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহার জেলায় CGD প্রকল্পের শিলান্যাস করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মোট ১০১০ কোটি টাকার অধিক ব্যয়ে, ২.৫ লক্ষেরও বেশি পরিবারকে পাইপলাইনের মাধ্যমে প্রাকৃতিক গ্যাস (PNG), ১০০-র বেশি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান ও শিল্প-কারখানায় গ্যাস সরবরাহ করা হবে। পাশাপাশি, মিনিমাম ওয়ার্ক প্রোগ্রাম (MWP)-এর লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী যানবাহনের জন্য প্রায় ১৯টি CNG স্টেশন স্থাপন করে কমপ্রেসড ন্যাচারাল গ্যাস (CNG) সরবরাহ করা হবে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর এই উপহারের সাধারণ মানুষ পরিবেশ বান্ধব, খরচ সাশ্রয়ী এবং নির্ভরযোগ্য জ্বালানির সুবিধা পাবেন, যার মাধ্যমে কর্ম ক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে। আগামীকাল বঙ্গ সফরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, সফর ঘিরে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা, সিকিম ও আলিপুরদুয়ারে রাজনৈতিক বার্তার অপেক্ষায় উত্তরবঙ্গ (North Bengal News)।
অপারেশন ‘সিঁদুর’—পাক অধিকৃত কাশ্মীরে (Kashmir) জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেওয়ার পর এই প্রথমবার বাংলায় আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আগামীকাল তাঁর সফর ঘিরে ইতিমধ্যেই উত্তরবঙ্গ জুড়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে। প্রধানমন্ত্রী প্রথমে বাগডোগরা বিমানবন্দরে নামবেন, সেখান থেকে হেলিকপ্টারে সরাসরি রওনা হবেন সিকিমের রাজধানী গ্যাংটকের উদ্দেশ্যে। সেখানে সিকিম দিবস উপলক্ষে একটি বিশেষ অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন তিনি।
সিকিম প্রশাসন সূত্রে খবর, প্রধানমন্ত্রীর এই সফর নির্বিঘ্ন করতে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। পর্যটন মরসুমে গ্যাংটক ও তার আশপাশে প্রবল যানজটের সমস্যা মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে প্রশাসনের কাছে। ফলে গ্যাংটক ও সংলগ্ন এলাকায় থাকা সব পর্যটকদের আগামীকাল ভোর ৬টার মধ্যে শহর ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রশাসনের এই পদক্ষেপের লক্ষ্য একটাই—প্রধানমন্ত্রীর সফরকালে গ্যাংটক শহরকে সম্পূর্ণ যানজট মুক্ত রাখা।
প্রধানমন্ত্রীর গ্যাংটক সফর শেষে দুপুর ১২টা নাগাদ তিনি জনসভা করবেন গ্যাংটকের পালজোর স্টেডিয়ামে। সেখানে তিনি সিকিমবাসীর উদ্দেশ্যে ভাষণ দেবেন। এরপর সিকিম থেকে হেলিকপ্টারে করে তিনি রওনা হবেন আলিপুরদুয়ারের প্যারেড গ্রাউন্ডে তৈরি অস্থায়ী হেলিপ্যাডে। সেখান থেকে সড়কপথে পৌঁছাবেন সভাস্থলে। আলিপুরদুয়ারে তাঁর জনসভা ঘিরে ইতিমধ্যেই প্রস্তুতি তুঙ্গে।
যদিও এই সফর সরকারি প্রকল্প নির্ভর এবং সরকারি উদ্দেশ্যে বলে জানানো হয়েছে, তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এটি আদতে একটি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক বার্তা বহনকারী সফর। উত্তরবঙ্গ, বিশেষ করে আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহার একসময় বিজেপির শক্ত ঘাঁটি ছিল। কিন্তু সম্প্রতি কোচবিহারে প্রভাব খুঁইয়েছে বিজেপি। পরিস্থিতি এমনই যে, আলিপুরদুয়ারেও বিজেপির ভিত দুর্বল হতে শুরু করেছে।
সাম্প্রতিক সময়ে আলিপুরদুয়ারের প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জন বারলা-র তৃণমূলে যোগদানের ঘটনাও বিজেপির সংগঠনে বড় ধাক্কা দিয়েছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহল। এই অবস্থায়, প্রধানমন্ত্রী কী বার্তা দেন আলিপুরদুয়ার থেকে—সেটাই এখন দেখার। বিশেষ করে, পাকিস্তানকে কড়া জবাব দেওয়ার প্রেক্ষিতে, মোদীর মুখ থেকে উত্তরবঙ্গবাসী কী বার্তা পান, সে দিকেই নজর সবার।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।