শোওয়ার থেকে ৪০ ফুট লম্বা সুড়ঙ্গ কেটে ছিল সাদ্দাম সর্দার, এভাবেই ক্রেতাদের থেকে টাকা হাতাত কুলতলির প্রতারকরা

Published : Jul 16, 2024, 09:37 PM ISTUpdated : Jul 16, 2024, 09:42 PM IST
Police found a 40 feet long tunnel from Saddam Sardars house in Kultali bsm

সংক্ষিপ্ত

পুলিশ সূত্রের খবর, সাদ্দাম সর্দারের বাড়ির শোয়ার ঘরেই রয়েছে সুড়ঙ্গ। প্রায় ৪০ ফুট লম্বা। সুড়ঙ্গ গিয়ে মিশেছে বাড়ির পাশের একটা খালে। সেই খাল আবার যুক্ত রয়েছে মাতলা নদীর সঙ্গে।

জেসিবি , জয়ন্ত-এর পরে এবার সামনে আসছে সাদ্দাম সর্দারের কুকীর্তি। যদিও জেসিবি বা জয়ন্তের সঙ্গে সাদ্দামের কোনও মিল নেই। তার সঙ্গে কোনও রাজনৈতিক দলের যোগ এখনও সামনে আসনি। কিন্তু বাংলা যে দুর্নীতির একটি বড় আখড়া হয়ে দাঁড়িয়ে তা আবারও প্রমান করে দিল কুলতলির সাদ্দাম সর্দার। যদিও এখনও সাদ্দামের কোনও খোঁজ পায়নি পুলিশ। তল্লাশি জারি করেছে। কিন্তু সাদ্দামের শোয়ার ঘরে খাটের তলায় যে রহস্যময় সুড়ঙ্গ উদ্ধার হয়েছে তা নিয়ে রীতিমত কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে তদন্তকারীদের।

পুলিশ সূত্রের খবর, সাদ্দাম সর্দারের বাড়ির শোয়ার ঘরেই রয়েছে সুড়ঙ্গ। প্রায় ৪০ ফুট লম্বা। সুড়ঙ্গ গিয়ে মিশেছে বাড়ির পাশের একটা খালে। সেই খাল আবার যুক্ত রয়েছে মাতলা নদীর সঙ্গে। সুড়ঙ্গের শেষপ্রান্তে একটি নৌকা নাকি সর্বদা বেঁধে রাখা হত। এমনটাই জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শরীরা। তবে বাড়ির মধ্যেই কী করে সুড়ঙ্গ তৈরি করা হল, কেনই বা সুড়ঙ্গ তৈরি করা হয়েছে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু হয়েছে।

পুলিশের অনুমান সাদ্দাম পালানোর ছক করেই বাড়িতে সুড়ঙ্গ তৈরি করেছিল। লোকচক্ষুর অন্তরাখে সেটিকে রাখার জন্য শোয়ার ঘর থেকেই সুড়ঙ্গ কাটা হয়েছিল। সাধারণ খাট দিয়ে সুড়ঙ্গের মুখ অন্যদের থেকে লুকিয়ে রাখত। সুড়ঙ্গের সঙ্গে যোগ ছিল খালের। খাল মিশেছে মাতলা নদীতে। পুলিশের অনুমান দ্রুত গাঢাকা দেওয়ার জন্যই এই কাজ করেছিল জয়ন্ত ও তাঁর স্ত্রী।

সোমবারের পর এদিনই কুলতলিতে সাদ্দামের বাড়িতে গিয়েছিল পুলিশ। তল্লাশি চালায়। কথা বলে স্থানীয়দের সঙ্গে। পুলিস সূত্রের খবর সোনার মূর্তি তৈরি করে তা বিক্রি করার নাম করেই প্রতারণার ছক কষত সাদ্দাম। কোনও ধাতব মূর্তি বা বিভিন্ন প্রাচীন জিনিসপত্র দেখিয়ে তা বিক্রি করার লোভ দেখাত। সাদ্দমারা গ্রামের লোককে এগিয়ে দিত। বলা হত মূর্তিগুলি নদী বা পুকুর থেকে কুড়িয়ে পেয়েছে তারা। তারপর ক্রেতার কাছে পুরনো মূর্তির নাম করে কিছু বিক্রি করত। কিছু মূর্তির কিুছু অংশ সোনা দিত। বাকিটা নকল বা কমদামি ধাতু দিয়ে তৈরি করত। ক্রেতার সঙ্গে দরদাম করার সময় আসন অংশটি যাচাই করে দেখাত প্রতারকতা। এই গ্রামে একাধিক প্রতারণার অভিযোগ উঠেছিল। যদিও অনেক সময় ক্রেতারা প্রতারিত হলেও অনেক সময় চোরাচালানের ভয় পুলিশের কাছে যেত না। কিন্তু নদিয়ার এক বাসিন্দা অভিযোগ দায়ের করার পরই নড়েচড়ে বসে পুলিশ। সোমাবার গ্রামে যায় সবকিছু খতিয়ে দেখতে। তারপরই সামনে আসে সাদ্দাম সার্দারের প্রতারণার নতুন তথ্য।

PREV
click me!

Recommended Stories

Dhupguri News: বিজেপিতে যোগের জেরে রাস্তায় নামতে বাধা! জাতীয় সড়কে টোটো চালকদের তীব্র বিক্ষোভ
কাল নতুন দল ঘোষণা, তার আগে জানুন বাবরি মসজিদের জন্য কত কোটি অনুদান পেলেন হুমায়ুন কবীর