বাংলা আর উত্তর প্রদেশ হল দেশের প্রধান আলু উৎপাদনকারী রাজ্য। দুটি রাজ্যেই আলুর উৎপাদন কমেছে। সেই কারণেই বছরের মাঝখান থেকেই আলুর দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে।
নিত্যপ্রয়োজনী আনাজপাতির দাম উর্ধ্বমুখী। এই অবস্থায় বাঙালির পাতে টান পড়তে পারে সাধারণ আলু ভাজা বা আলু সেদ্ধ। তেমনই ইঙ্গিত দিচ্ছে বাজার দর। চড়চড়িয়ে দাম বাড়ছে আলুর। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই উদ্বেগ বাড়ছে মধ্যবিত্ত থেকে নিম্নবিত্তর। তবে শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয়, গোটা দেশেই হুহু করে বাড়ছে আলুর দাম। আগামী দিনে আলুর দাম পাঁচ থেকে ১০ শতাংশ বাড়তে পারে বলেও জানাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।
একটি রিপোর্ট অনুযায়ী বাংলা আর উত্তর প্রদেশ হল দেশের প্রধান আলু উৎপাদনকারী রাজ্য। দুটি রাজ্যেই আলুর উৎপাদন কমেছে। সেই কারণেই বছরের মাঝখান থেকেই আলুর দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। ব্যবসায়ীদের মতে আগের দামের তুলনায় এখনই আলুর দাম ২৩ শতাংশ বড়েছে। গত বছরের তুলনায় আলুর দাম বেড়েছে ৩২ শতাংশ। যার প্রভাব পড়েছে খুরচো বাজারে। কলকাতা সহ রাজ্যের একাধিক বাজাতে এপ্রিল মাসেই ২৫-২৮ টাকা কিলোদরে আলু বিক্রি হয়েছে। কিন্তু মে মাসে সেই দাম বেড়ে হয়েছে ৩৪-৩৫ টাকা। চন্দ্রমুখী আলুর দাম কিলোপ্রতি ৪০ টাকা।
তবে আপাতত আলু নিয়ে স্বস্তি নেই। কৃষি বিভাগের খবর অনুযায়ী ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে ১.২ কোটি টন আলু উৎপাদন হয়েছে। ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে গত বছরের তুলনায় আলুর ফলন কম হবে। ৯০ লক্ষ টন কম হবে বলেও আগাম অনুমান করেছে কৃষি বিভাগ। সেই কারণে এই রাজ্য তো বটেই গোটা দেশেই আলুর দাম আরও বাড়বে।
ব্যবসায়ীদের কথায় বাংলার ৪৬২টি কোল্ড স্টোরেজে ৭৫ লক্ষ টন আলু সংরক্ষণ করতে পারে। কিন্তু ফলন যেহেতে কম তাই চলতি বছরের একদম শেষেও আলুর দাম কমার তেমন কোনও সম্ভাবনা নেই। সাধারণত শীতকালে নতুন আলু ওঠে। সেই সময় আলুর দাম কমই থাকে। কিন্তু এবার তার তেমন সম্ভাবনার কথা উড়িয়ে দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।