কলকাতা হাইকোর্টে ৬০ জন চাকরিপ্রার্থী মামলা করেছিলেন। তাদের আবেদন ছিল ২০১৪ সালের টেটের শাংসাপত্র দেওয়া হোক।
কলকাতা হাইকোর্টে অমৃতা সিনহার এজলাসে টেট পরীক্ষা নিয়ে এবার প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের দাবি উড়িয়ে দিল সিবিআই। ২০১৪ সালে স্কুল নিয়োগের পরীক্ষা টেটের শংসাপত্র চেয়ে মামলা করছিল কয়েকজন পরীক্ষার্থী। সেই মামলাতেই প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ দাবি করেছিল টেট পরীক্ষা নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে তদন্ত করছে সিবিআই। তাই তদন্তকারী সংস্থা হিসেবে সব তথ্যই রয়েছে সিবিআই-এর হাতে। বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্ট প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সেই দাবি উড়িয়ে দিল সিবিআই। জানিয়েছে, ২০১৪ সালের টেটের উত্তরপত্র যারা মূল্যায়ন করেছিল সেই সংস্থা আগেই পর্ষদের হাতে সব তথ্য তুলে দিয়েছে। কাল, শুক্রবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি।
কলকাতা হাইকোর্টে ৬০ জন চাকরিপ্রার্থী মামলা করেছিলেন। তাদের আবেদন ছিল ২০১৪ সালের টেটের শাংসাপত্র দেওয়া হোক। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ আদালতে জানায়, ওই টেটের ওএমআর মূল্যায়ন করেছে এস বসু রায় কোম্পানি। ২০১৪ সালের এই টেট নিয়ে সিবিআইয়ের তদন্ত চলছে। তাদেরও আওতায় সমস্ত তথ্য রয়েছে। সে কারণে, তারা কোনও তথ্য দিতে পারবে না। পাশাপাশি পর্ষদের দাবি প্রার্থীরা সঠিক পদ্ধতি মেনে আবেদন করেনি। সেই কারণে শংসাপত্র দেওয়া যায়নি।
বিচারপতি অমৃতা সিংহের এজলাসে সিবিআইয়ের আইনজীবী বৃহস্পতিবার জানান, পর্ষদের এই বক্তব্য সঠিক নয়। ১ লক্ষ ২৫ হাজার ৭০৩ জন টেট উত্তীর্ণ প্রার্থীর সব তথ্য পর্ষদের কাছে রয়েছে। চালান দেখিয়ে সিবিআই দাবি করেছে, ২০২৩ সালের ১ এপ্রিল এই তথ্য পর্ষদকে হস্তান্তর করেছে এস বসু রায় কোম্পানি। এই শুনানি বৃহস্পতিবার শেষ হয়নি। শুক্রবার আবার মামলাটি শোনা হবে।
প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ সূত্রের খবর, ২০১৪ সালে যে টেট পরীক্ষা হয়েছিল তার ভিত্তিতে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয় ২০১৫ সালে। রাজ্যের প্রাথমিক স্কুলগুলিকে ৪২ হাজার শূন্যপদে নিয়োগ করা হয়েছিল। কিন্তু ২০১৬ সালে নিয়োগ প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ তোলেন চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ। নিয়োগ প্রক্রিয়াকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন সোমনাথসেন নামে এক চাকরিপ্রার্থী। মঙ্গলবার সেই মামলার শুনানি হয়েছিল বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে।